শুভঙ্কর বসু: পুজো মণ্ডপে (Durga Puja 2020) ‘নো এন্ট্রি’-র নির্দেশ সত্বেও মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দেওয়ার ঘটনায় বুধবার আইনি নোটিস হাতে পেতে চলেছেন নুসরত-সৃজিতরা। নোটিস দেওয়া হচ্ছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও।
শুধু অভিনেত্রী নুসরত (Nusrat Jahan) বা পরিচালক সৃজিতই নন, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যে বা যাঁরা অষ্টমীর সকালে মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দিয়েছেন, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেইমতো পুজো মিটতেই নোটিস পাঠানোর ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, তিনি নুসরত, সৃজিতদের উদ্দেশে আইনি নোটিস ডাকপ্রেরণ করেছেন। যেটি বুধবার তাঁরা হাতে পাবেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: পুজোর পর প্রথমবার জিমে গিয়ে এ কী হাল অঙ্কুশের! ভিডিও দেখে হেসে খুন নেটিজেনরা]
অষ্টমীর সকালে সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangha) মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরাত জাহান ও তার স্বামী নিখিল জৈনকে। এছাড়াও অঞ্জলি দিয়েছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মিথিলা। মণ্ডপে তাঁদের ঢাকের তালে নাচতেও দেখা গিয়েছিল। পাশাপাশি মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দিতে দেখা যায় আরেক তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্রকেও। এরপরই সব্যসাচীবাবু জানিয়েছিলেন, “হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ সকলের মেনে চলা উচিত। তাছাড়া কেউ যদি জনপ্রতিনিধি হন, নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্বটা আরও বেড়ে যায়। যাঁরাই নির্দেশ অমান্য করবেন তাঁদের ক্ষেত্রেই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।” সূত্রের খবর, আইনি নোটিসে মণ্ডপে প্রবেশ প্রসঙ্গে নুসরত ও সৃজিতের কাছে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। বিষয়গুলি স্পষ্ট না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
মণ্ডপে প্রবেশ প্রসঙ্গে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়েছিল, মণ্ডপ বা নো এন্ট্রি জোনে পুজো উদ্যোক্তা, পুরোহিত ও ঢাকিরা ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। পুজো উদ্যোক্তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও সংখ্যা নির্ধারিত করে দিয়েছিল আদালত (Kolkata High Court)। বড় পুজোর ক্ষেত্রে একসঙ্গে ৪৫ এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে একসঙ্গে ১৫ জনের প্রবেশের অনুমতি ছিল। এবং কারা কারা কতদিন প্রবেশ করবেন সেই সংক্রান্ত তালিকা সকাল আটটার মধ্যে মণ্ডপে ঝোলানোর নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। যদিও নুসরত আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি তিন বছর ধরে সুরুচি সংঘের সদস্য। নুসরতের মতোই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও সুরুচি সংঘের সদস্য বলে জানিয়েছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে নুসরতের স্বামী নিখিল জৈন ও সৃজিতের স্ত্রী মিথিলাকে নিয়ে। মিথিলা বাংলাদেশের নাগরিক। ফলে মিথিলা ও নিখিল সুরুচি সংঘের সদস্য কি না সে ব্যাপারটি স্পষ্ট নয়।