আলাপন সাহা, বেঙ্গালুরু: চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম থেকে মিনিট পনেরোর রাস্তা। বেঙ্গালুরুর ট্রাফিকে পড়লে সেটা আরও দশ মিনিট বাড়তে পারে। বিখ্যাত এক বেকারির দোকান। নাম থমস বেকারি। যেটা আবার অনুষ্কা শর্মার (Anushka Sharma) অতীব পছন্দের এক বেকারি।
অযোধ্যায় জন্ম হলেও অনুষ্কার স্কুল জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কেটেছে বেঙ্গালুরুতে। কলেজ জীবনও তাই। তখন থেকেই ওই থমস বেকারির প্রতি অদ্ভুত একটা টান রয়েছে। এখনও অনুষ্কা বেঙ্গালুরু এলে থমস বেকারি থেকে জিনিসপত্র যায়। কিন্তু তাই বলে স্বয়ং বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সেখানে চলে যাবেন, সেটা মনে হয় না কেউ ভাবতে পেরেছিলেন! আরও অবাক করার মতো ব্যাপার হল–থমস বেকারির কেউ বিরাটকে চিনতে পর্যন্ত পারেননি!
[আরও পড়ুন: ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপের পরই কি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বাবর? তুঙ্গে জল্পনা]
ঘটনাটা গতবছর মার্চের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই শহরেই টেস্ট ম্যাচের সময়। শোনা গেল, স্ত্রী অনুষ্কার পছন্দের বেশ কিছু জিনিস কিনতে ওই বেকারিতে গিয়েছিলেন বিরাট। সারাদিনই ওই বেকারিতে প্রচুর ভিড় থাকে। কিন্তু এত ভিড়ের মধ্যেও কেউ খেয়াল করেননি যে বিরাট এসেছেন! কোহলি মাস্ক দিয়ে মুখটা এমনভাবে ঢেকে রেখেছিলেন, তাতে কেউ ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি যে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বেকারিতে গিয়েছেন কেনা-কাটা করতে। ব্যাপারটা জানাজানি হয় প্রায় এক মাস পর।
দোকানের বিল বিরাট নিজের কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করেন। কিন্তু ভিড় থাকার জন্য কেউ খেয়ালও করেননি যে কার্ডটা কার নামে রয়েছে! এক মাস পর দোকানের এক লোকের নজরে আসে ব্যাপারটা। তখন আর আফসোস করা ছাড়া অন্য কিছু করার ছিল না।
দেড় বছর পরও যে আফসোস ভালরকম রয়েছে তাদের। দোকানের এক কর্মী বলছিলেন, ‘‘আমরা বুঝতেও পারিনি, উনি বিরাট ছিলেন। আসলে কোহলি এভাবে যে আসতে পারেন, সেটা স্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না। এক মাস পর আমরা ব্যাপারটা আবিষ্কার করি। কোহলি আমাদের দোকানে এসে জিনিস কিনে চলে গেলেন, আমরা জানতেই পারলাম না। সেই আফসোস কি সারাজীবনে আর যাবে?’’
বিশ্বকাপ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে কোহলি এখন বেঙ্গালুরুতেই। বেকারির সবাই এখন আশায় বসে-কোহলি কবে ফের আসবেন? যদিও বিশ্বকাপের ব্যস্ততার মাঝে যে সেটা সম্ভব নয়, তাঁরাও ভাল করে জানেন। তাঁদের আশা আইপিএল চলাকালীন কিংবা পরে কখনও ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটার আবারও হয়তো আসবেন। সেই আশা কবে পূরণ হয়, সেটাই দেখার।