সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষাদানে, সমাজে বড় হয়ে ওঠার পথে শিশুদের কাছে অভিভাবকদের পরই স্থান শিক্ষকদের। অথচ সেই শিক্ষকের হাতেই নাকি যৌন হেনস্তার শিকার ছাত্রী! তাও আবার শিক্ষাঙ্গনেই। ১১ বছরের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নবরংপুর জেলার একটি সরকারি স্কুলে। বছর এগারোর তফসিলি জাতির ষষ্ঠশ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের শৌচালয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক-সহ দুই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ওই ছাত্রী স্কুলে শৌচালয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ই শৌচালয়ের দরজা জোর করে খুলে ঢুকে পড়েন হেডমাস্টার এবং আরেক শিক্ষক। এরপর সেখানেই চলে যৌন নির্যাতন।
[আরও পড়ুন: কাজের ফাঁকে রেইকি করে ডাকাতি? খড়দহে ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাটে আটক মিস্ত্রি]
গোটা ঘটনায় এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী, যে কোথাও মুখ খোলেনি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার তার পেটে ব্যথা হতে পরিবারকে গোটা ঘটনা খুলে বলে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরীকে। সেখানেই চিকিৎসক তার উপর যৌন নিগ্রহের কথা জানান। এরপরই কুন্ডেই থানায় ওই হেডমাস্টার এবং অন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান কিশোরীর পরিবার। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা-সহ পকসো আইনেও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে কিশোরীর। এখনও মানসিক ট্রমা কাটাতে পারেনি সে। আর ওড়িশার এই ঘটনাই যেন প্রশ্ন তুলে দিল, এ কোন সমাজ? কোথায় সুরক্ষিত নারীরা!