সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোফিয়া ফিরদৌস। ওড়িশার (Odisha) প্রথম মুসলিম মহিলা বিধায়ককে নিয়ে চর্চা দেশজুড়ে। অথচ নির্বাচনের মাত্র একমাস আগে ঠিক হয়েছিল তিনি ভোটে লড়বেন! সোফিয়ার বাবা কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী মহম্মদ মোকিম কটকের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি ভোটে জিতেও ছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁর ভোটে দাঁড়ানোয় বাধা সৃষ্টি হওয়ার পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। কংগ্রেসের অনুরোধে রাজি হয়েই ভোটে লড়তে রাজি হয়ে যান সোফিয়া। বাকিটা ইতিহাস। ৮০০১ ভোটে বিজেপির পূর্ণচন্দ্র মহাপাত্রকে সেরাজ্যের প্রথম মুসলিম মহিলা বিধায়ক হয়ে নজির গড়েছেন তিনি।
৩২ বছর বয়স সোফিয়ার। জয়ের পর উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বলেছেন, ''আমি সবার আগে একজন ওড়িয়া, একজন ভারতীয় ও একজন মহিলা।'' তবে নিজেকে নিছক মুসলিম রাজনীতিক হিসেবে না ভেবে মহিলাদের উন্নয়নের দিকেই যে তিনি 'ফোকাস' করবেন তাও জানিয়েছেন ওই তরুণী। তাঁর কথায়, ''আমি কোনও রাজনীতিক নই। আমার বাবা যখন নির্বাচনে লড়তে অসমর্থ হলেন, তখন আমার বাড়িতে জড়ো হন ৪০০-৫০০ সমর্থক। কঠোর শ্রম ও মজবুত ভিত্তি তৈরি করে কটকে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন আমার বাবা। সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে মাঠে নামতে সমর্থন করেছেন সকলে।''
[আরও পড়ুন: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জমানায় নয়, দেশের আর্থিক উন্নতিতে অবদান বেশি ‘মিলিজুলি’ সরকারেরই!]
মাত্র একমাসের প্রস্তুতিতে ভোটে লড়তে ভয় হয়নি? সোফিয়া বলছেন, ''নির্বাচনের জন্য আমার হাতে একমাস ছিল। সবচেয়ে বেশি ভয় ছিল যে, আমার বাবাকে সকলে চেনেন। ২০১৪ সালে তিনি হারলেও ২০১৯ সালে দারুণভাবে জিতেছিলেন। মানুষ কি আমাকে ভোট দেবেন? এত তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করবেন?'' আর এই সংশয় থেকেই বাড়তি পরিশ্রম করার সিদ্ধান্ত নেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সোফিয়া। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত, অন্যদিকে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলত ভোটপ্রচার ও অন্যান্য কাজকর্ম। শেষপর্যন্ত সেই পরিশ্রমেই মিলেছে সাফল্য ওড়িশার প্রথম মহিলা মুসলিম বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।