সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সকলের সামনে কথা শুনিয়েছিলেন পঞ্চায়েত সভাপতি। তার পরেই নিজের বাসভবন থেকে উদ্ধার হল অতিরিক্ত জেলাশাসকের ঝুলন্ত দেহ। কেরলের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযোগ, বদলির আগে অপমানিত হয়েই সম্ভবত চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেরলের ওই সরকারি আধিকারিক।
ঠিক কী ঘটেছে কেরলের কান্নুরে? জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নবীন বাবু। কান্নুরের পাল্লিকুন্নুতে অতিরিক্ত জেলাশাসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তবে কয়েকদিন আগে তাঁর বদলির নির্দেশ আসে। নিজের জন্মস্থান পাথানামতিত্থাতেই বদলি হয়ে যান তিনি। পুরনো কর্মক্ষেত্রে সোমবার ছিল নবীনের শেষ দিন। বদলির আগে নবীনের জন্য বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন সহকর্মীরা। সেখানে হাজির ছিলেন জেলাশাসক নিজেও।
তবে আমন্ত্রিত না থাকলেও সেই অনুষ্ঠানে পৌঁছে যান জেলার পঞ্চায়েত সভাপতি পি পি দিব্যা। মঞ্চে উঠে সকলের সামনেই নবীনকে বকাবকি শুরু করেন ওই সিপিএম নেত্রী। অভিযোগ আনেন, ইচ্ছাকৃতভাবে একটি পেট্রল পাম্প তৈরির ছাড়পত্র আটকে রেখেছেন নবীন। বদলির মাত্র দুদিন আগে ওই ছাড়পত্র দিয়েছেন বিশেষ স্বার্থের কারণে, এমনটাও দাবি করেন পঞ্চায়েত নেত্রী।
তীব্র ভর্ৎসনার পর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নেমে যান দিব্যা। অন্যরা তাঁকে অনুরোধ করেন নবীনের হাতে স্মারক তুলে দেওয়ার জন্য। তবে সেসবে কর্ণপাত না করেই চলে যান পঞ্চায়েত প্রধান। এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রবল অপমানিত হন নবীন। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবারই নতুন কাজের জায়গায় চলে যাওয়ার কথা ছিল নবীনের। কিন্তু দিব্যা হুঁশিয়ারি দেন, নবীনের কুকীর্তির আরও খবর প্রকাশ্যে আসবে দুদিন পরে। হয়তো সেই কারণেই পুরনো কর্মক্ষেত্রে থেকে যান নবীন। সেখানেই আত্মঘাতী হন তিনি।