সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার (Hariyana) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালাকে (Om Prakash Chautala) ৪ বছরের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় এই রায়। ৮৭ বছরের চৌটালার আরজি ছিল, বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে কম সাজা দেওয়া হোক তাঁকে। কিন্তু আদালত সাজা কম করেনি। তাই বর্ষীয়ান চৌটালার নতুন ঠিকানা তিহার জেল। ওই জেলের সবচেয়ে প্রবীণ বন্দি তিনি। তবে এই কারণে বেশ কিছু সুবিধাও পাচ্ছেন চৌটালা।
কীরকম সুবিধা? জেলের অন্য সত্তরোর্ধ্ব বন্দিদের মতো ওমপ্রকাশ চৌটালাও পাবেন একটি আলাদা বিছানা। এত বয়সের কারণে কোনও কাজই করতে হবে না তাঁকে। এক জেল আধিকারিকের কথায়, ”এছাড়াও বর্ষীয়ান বন্দিদের ক্ষেত্রে অন্য কোনও বন্দিকে দেওয়া হয় তাঁর দেখভালের দায়িত্ব। যাঁদের আচরণ ভাল এমন বন্দিদেরই এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়।”
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় বাংলার নিন্দা করে তৃণমূলের তোপের মুখে যোগী আদিত্যনাথ]
শুধু তাই নয়, জেলে নিজের জামাকাপড়ও কাচতে হবে না চৌটালাকে। তাঁর দৈনন্দিন কাজগুলি করে দেবেন অন্য কেউ। বর্ষীয়ান হওয়ার কারণেই এই ধরনের সুবিধাগুলি পাবেন তিনি। এরই পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে এই মামলায় হরিয়ানার (Haryana) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউর বিশেষ আদালত। সেবার আদালত জানায়, আয়ের চাইতে প্রায় একশো তিন গুণ সম্পত্তি রয়েছে চৌটালার। যা অঙ্কের সহজ হিসেবে কোনওভাবেই খাপ খাচ্ছে না। আদালত আরও বলে যে, নিজের সাফাইয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে কীভাবে বিপুল সম্পত্তি জমা করেছেন তিনি, তার স্পষ্ট কোনও জবাব নেই।
২০০৫ সালে চৌটালার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। এরপর ২০১০ সালে ২৬ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি হয়েছে চৌটালার।