shono
Advertisement

“আমি তো তখন নাবালক ছিলাম”, ফাঁসির মুখে দাবি নির্ভয়ার আরও এক ধর্ষকের

ইতিপূর্বে আরও এক নাবালক দোষী ফাঁসির সাজা থেকে রেহাই পেয়েছে। The post “আমি তো তখন নাবালক ছিলাম”, ফাঁসির মুখে দাবি নির্ভয়ার আরও এক ধর্ষকের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 12:34 PM Dec 19, 2019Updated: 06:15 PM Dec 19, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়া ধর্ষণে অভিযুক্ত পবন কুমার গুপ্তা ২০১২ সালে নাকি নাবালক ছিল। ফাঁসির সাজা এড়াতে বুধবার এই আবেদন নিয়ে  ফের দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সে। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টের বিচারক সুরেশকুমার গুপ্তার এজলাসে এই মামলার শুনানি।ইতিপূর্বেই নাবালক হওয়ায় ফাঁসির সাজা থেকে রেহাই পেয়ে গিয়েছিল এক দোষী। শেষপর্যন্ত এই মামলা খারিজ হয়ে যায়। এমনকী আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য পবনের আইনজীবী এ পি সিংয়ের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁকে বারবার আদালতে আসতে বলা হলেও তিনি আসেননি। এমনকী মক্কেলের বয়সের ভুয়ো নথি দাখিল করেছিল বলেও অভিযোগ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে অভিযুক্ত অক্ষয় সিং ঠাকুরের ফাঁসির সাজা বহাল রাখে। তবে তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, চার দোষীকে সাতদিনের মধ্যে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে হবে।এরপরই নাবালকত্বের সুবিধা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় পবন কুমার।

[আরও পড়ুন : খারিজ অক্ষয় ঠাকুরের আবেদন, নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট]   

 বুধবার তিহার জেলে বন্দি পবন কুমারের অভিযোগ, তদন্তকারী আধিকারিকরা তার ‘অসিফিকেশন’ পরীক্ষা করেননি। তাই এখন সে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন গত ছ’বছর সে এই দাবি জানায়নি। পাল্টা পবনের যুক্তি, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের ৭এ ধারায় বলা হয়েছে, মামলার চূড়ান্ত রায় দানের পরও নাবালকত্বের জন্য বিশেষ সুবিধার দাবি জানানো যেতে পারে।

[আরও পড়ুন :আমরা ইউপিএ জোটের অংশ নই, সামনায় দাবি শিব সেনার]  

প্রসঙ্গত, বুধবার আদালতে অক্ষয় সিং ঠাকুরের ফাঁসির রায় পুর্নবিবেচনা নিয়ে শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অশোক ভূষণ, এএস বোপান্না ও জে ভানুমতির বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। শুরু থেকেই ফাঁসির রায়ের বিরোধিতা করে অক্ষয় সিং ঠাকুরের আইনজীবী এপি সিংহ। তাঁর যুক্তি, “মৃত্যুর আগে নির্যাযিতাত কারোর নাম বলে যেতে পারেননি। অক্ষয়ের নাম মুখে পর্যন্ত আনেননি নির্ভয়া। তাই অক্ষয় সিংকে ফাঁসি দেওয়া উচিৎ নয়।” ফাঁসি আটকাতে তার আরও যুক্তি, “এভাবে অপরাধ কমানো যায় না। ফাঁসি দিলে অপরাধীকে মেরে ফেলা যায় ঠিকই। কিন্তু অপরাধ শেষ করা যায় না।” কিন্তু সেই সব যুক্তি ধোপে টেকেনি। এদিকে রাষ্ট্রপতির কাছে অক্ষয় সিং ঠাকুরের প্রাণভিক্ষার আবেদনের জন্য তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন তার আইনজীবী। কিন্তু সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানান, প্রাণভিক্ষা চাওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময়ের কথা বলা হয়েছে আইনে।

The post “আমি তো তখন নাবালক ছিলাম”, ফাঁসির মুখে দাবি নির্ভয়ার আরও এক ধর্ষকের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement