সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মাওবাদী হামলায় রক্তাক্ত ছত্তিশগড়। এবার মাওবাদীরা হামলা চালিয়েছে সিআরপিএফ ক্যাম্পের সামনে। বুধবার সকালে আচমকাই ক্যাম্পের সামনে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণে প্রাণ হারান এক সিআরপিএফ জওয়ান।
[ আরও পড়ুন: নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর উদ্ধার ‘ক্যাফে কফি ডে’র মালিকের মৃতদেহ ]
ছত্তিশগড়ের বেশ কয়েকটি এলাকা এখনও মাওবাদী অধ্যুষিত। ফলে মাঝেমধ্যেই মাওবাদীদের সঙ্গে জওয়ানদের লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বুধবার সকাল ছ’টা পনেরো নাগাদ দান্তেওয়াড়ার সিআরপিএফ ক্যাম্প থেকে ৭০০ মিটার দূরে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। ওখানেই টহল দিচ্ছিলেন জনাকয়েক জওয়ান। বিস্ফোরণের ফলে এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তাঁর নাম রোশন কুমার। তিনি বিহারের নওদার বাসিন্দা। ১৯৫ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান তিনি।
কিছুদিন আগে ছত্তিশগড়ে মাওবাদী হানায় ৪ মাওবাদী খতম হয়। রাজ্যের ধামতারি জেলার খাল্লারি এলাকার জঙ্গলে কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে ছিল বলে খবর পাওয়া যায়। এরপরই সেখানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করেন স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। জঙ্গলে তল্লাশি চালানোর সময় গুলি ছোঁড়ে মাওবাদী। পালটা জবাব দেন জওয়ানরাও। এর জেরে তিন মহিলা-সহ ৪ মাওবাদীর মৃত্যু হয়। মনে করা হচ্ছে তার পালটা হিসেবেই সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। তবে এনিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন জওয়ানরা। এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি। মাওবাদীরা আশপাশে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
[ আরও পড়ুন: অপর্ণা সেনদের বিরোধিতা, প্রধানমন্ত্রীকে রক্তে লেখা চিঠি পাঠাল হিন্দু মহাসভা ]
গত ২৮ জুন মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন দুই সিআরপিএফ জওয়ান। উভয়পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে প্রাণ গিয়েছিল স্থানীয় এক গ্রামবাসীর। ঘটনাটি ঘটেছিল ছত্তিশগড়ে বিজাপুর জেলার কেশকুতুল ও চোলপাড়ার মধ্যবর্তী গভীর জঙ্গলে। ২৭ তারিখ রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। আর ২৮ তারিখ ভোরে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় তাদের। দীর্ঘক্ষণ লড়াই চলার পর শহিদ হন দুই সিআরপিএফ জওয়ান।
The post ছত্তিশগড়ে সিআরপিএফ ক্যাম্পের কাছে আইইডি বিস্ফোরণ, শহিদ জওয়ান appeared first on Sangbad Pratidin.