সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি সরকারের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের সপ্তম বর্ষপূর্তিতে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে গোটা দেশ যখন আত্মনির্ভরতার দিকে পা বাড়াচ্ছে, তখনই সরকারের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিরোধীরা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি (BJP) সভাপতি বলছেন, “এই মহামারীর সময় বিজেপি কর্মীরা যেখানে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, সেখানে বিরোধীরা কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছে।”
করোনা (Coronavirus) আবহে আগেরবারের মতো এবারেও বিজেপির সরকারের বর্ষপূর্তিতে কোনওরকম সেলিব্রেশন হচ্ছে না। মহামারীর আবহে সরকারের সপ্তম বর্ষপূর্তিকেই দলের ভাবমূর্তি মেরামতির কাজে লাগাতে চাইছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আসলে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ‘ব্যর্থতা’ অনেকাংশে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারের জনপ্রিয়তাকে আঘাত করেছে। সম্ভবত সেকারণেই এদিন নাড্ডার (JP Nadda) আক্রমণের সুর ছিল মূলত কোভিডকে কেন্দ্র করেই। তিনি বললেন,”একটা সময় বিরোধীরাই ভ্যাকসিন নিয়ে বাজে কথা বলেছে। ভ্যাকসিনকে বিজেপি ভ্যাকসিন, মোদি ভ্যাকসিন (Modi Vaccine) বলেছে। সরকারের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করেছে। আজ তাঁরাই আবার ভ্যাকসিনের জন্য কান্নাকাটি করছে।” তাঁর কথায়,কিছু লোকের কাজ শুধু বাধা দেওয়া। কিছু মানুষ আমাদের সব কাজেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এদের একটাই কাজ, মানুষকে বিভ্রান্ত করা।
[আরও পড়ুন: ‘কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন, তবে জিততে তৈরি ভারত’, ‘মন কি বাতে’ আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী]
বিজেপি সভাপতি বলছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশবাসী কঠিন সময়ের মোকাবিলা করেছে। ওঁর পথপ্রদর্শনেই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আত্মনির্ভর ভারতের পথ প্রশস্ত হচ্ছে। আজ এই দেশের প্রত্যেকটা গ্রাম, প্রত্যেক গরিব, কিষাণ, দলিত, নিপীড়িত এবং বঞ্চিতদের মনে হচ্ছে দিল্লিতে আমাদের সরকার কাজ করছে।” প্রসঙ্গত, গতবছরের মতো এবছরও সরকারের বর্ষপূর্তির দিনটাকে সেবা দিবস হিসেবে পালন করছে বিজেপি। সরকারের সপ্তম বর্ষপূর্তিতে দেশের অন্তত ১ লক্ষ গ্রামে পৌঁছে যেতে চাইছেন নেতামন্ত্রীরা। দলের কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মাস্ক, স্যানিটাইজার, অক্সিমিটার এবং ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রত্যেক কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের মন্ত্রীকে অন্তত ২টি করে গ্রামে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের তরফে ‘সেবা হি সংগঠন’ নামের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেই উপলক্ষেই বক্তব্য রাখছিলেন নাড্ডা।