সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতিগত জনগণনার দাবিতে ক্রমশ চাপ বাড়ছে মোদি সরকারের। এই ইস্যুতে ফের একবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাহুলের সুরে সুর মেলাতে দেখা গেল এলজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানকে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের 'মুড অফ দ্য নেশন'-এর রিপোর্ট তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল লিখলেন, 'দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ চান অবিলম্বে জাতিগত জনগণনা হোক।'
মুড অফ দ্য নেশনের রিপোর্ট তুলে ধরে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেনে, 'মোদিজি যদি আপনি জাতিগত জনগণনা আটকে দেওয়া বিষয়ে পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে বলব আপনি স্বপ্নের জগতে রয়েছেন। কোনও শক্তি আর এটা রুখতে পারবে না। ভারতের নির্দেশ চলে এসেছে। শীঘ্রই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ জাতিগত জনগণনার সমর্থন ও তা সম্পন্ন করার দাবি জানাবে। অবিলম্বে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করুন, অন্যথায় আপনি দেখবেন আপনার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এটা লাগু করছেন।' পাশাপাশি একটি রিপোর্ট তুলে ধরা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে যেখানে লেখা হয়েছে, 'জাতিগত জনগণনার দাবি ক্রমশ বাড়ছে। ৭৪ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে রায় দিয়েছেন। সমাজে কারা কতখানি অংশিদারিত্ব করছে? এই প্রশ্নের জবাব মানুষ চায় এবং সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চায়।'
[আরও পড়ুন: ঈশ্বর কেজরিকে জেলমুক্ত করুন! স্বর্ণমন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা সিসোদিয়ার]
রাহুলের পাশাপাশি একই দাবিতে সরব হয়েছেন এনডিএ শরিক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান। তিনি বলেন, 'জাতি জনগণনা সমাজের প্রান্তিক মানুষকে মূল স্রোতে আনার অন্যতম উপায়। আমার দল সর্বদা এই দাবির পক্ষে ছিল এবং থাকবে। এই ভাবে জনগণনা হলে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার জাতিভিত্তিক বিষয়টি মাথায় রেখে সঠিক পরিকল্পনা নিতে পারবে। এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য যে প্রকল্পগুলি বরাদ্দ রয়েছে তা ভালভাবে কার্যকর করা সম্ভব হবে। ফলে জাতিগত জনগণনার সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের কাছে থাকা উচিত।'
[আরও পড়ুন: ধর্ষণ, খুন… আন্দোলনের আড়ালে ষড়যন্ত্র কৃষকদের! ফের বিস্ফোরক কঙ্গনা]
উল্লেখ্য, জাতিগত জনগণনার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব কংগ্রেস। এমনকী কংগ্রেস শাসিত একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে জাতিগত জনগণনা। এনডিএ শাসিত বিহারেও সম্পন্ন হয়েছে জাতিগত জনগণনা। তবে মোদি সরকার এ বিষয়ে কোনও রকম উদ্যোগ নিতে নারাজ। মোদি সরকারের দাবি, তফসিলি জাতি, উপজাতির, ওবিসি, এভাবে আলাদা করে জাতপাত ঘোষণা করলে বিভেদ বাড়বে। বিরোধী শিবিরের দাবি, আলাদা আলাদা শ্রেণির মানুষের সংখ্যা জানলে তাদের জন্য কাজ করতে সুবিধা হবে সরকারেরই। কোন শ্রেণির মানুষ কত শতাংশ, সেটা জানলে সেই মতো প্রকল্প তৈরি করা যায়। এবার এই ইস্যুতে রাহুলের পাশাপাশি সরব হলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান।