shono
Advertisement

গাজিপুর যেন ভারত-পাক সীমান্ত! স্পিকারকে লেখা চিঠিতে ক্ষোভ বিরোধী সাংসদদের

সৌগত রায়-সহ মোট ১২ জন সাংসদ ওই চিঠি লিখেছেন।
Posted: 10:32 AM Feb 05, 2021Updated: 10:32 AM Feb 05, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার গাজিপুরে (Ghazipur) কৃষকদের ধরনা মঞ্চে যেতে দেওয়া হয়নি বিরোধী নেতাদের। মোট ১৫ জন সাংসদকে আটকে দেওয়া হয় মূল মঞ্চ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরেই। এবার গাজিপুর সীমান্তকে ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan) নিয়ন্ত্রণরেখার সঙ্গে তুলনা করল বিরোধীরা। এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার (Lok Sabha Speaker) ওম বিড়লাকে চিঠি লিখলেন ১০টি রাজনৈতিক দলের ১২ জন সাংসদ। যাঁদের অন্যতম তৃণমূল (TMC) নেতা সৌগত রায় (Saugata Roy), এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, শিরোমণি অকালি দলের হরসিমরত কৌর বাদলের মতো সাংসদরা।

Advertisement

সেই চিঠিতে ক্ষোভ উগরে সাংসদদের প্রশ্ন, ”আমরা কি কোনও পুলিশ শাসিত রাষ্ট্রে বাস করি যেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মেলে না? দিল্লি সীমান্তে যেভাবে দিল্লি পুলিশ আমাদের আটকে দিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি, তার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। আমরা চাই সংসদেও কৃষকদের ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হোক। সেই সঙ্গে আলোচিত হোক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের আচরণের বিষয়টিও।”

[আরও পড়ুন: ‘অযোধ্যায় মসজিদের জন্য সরকারের দেওয়া জমি আমাদের’, দাবি দুই মহিলার]

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ গাজিপুর সীমান্তে কৃষকদের ধরনা মঞ্চে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। প্রথম ব্যারিকেড জোর করে পেরলেও, দ্বিতীয় ব্যারিকেড আর পেরতে পারেননি তাঁরা। পুলিশের দাবি, যেহেতু আগাম কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি তাই যেতে দেওয়া হয়নি সাংসদদের। যদিও বিরোধীদের পালটা দাবি, রাজনৈতিক নেতাদের যেতে না পারা নিয়ে কোনও নির্দেশিকাও জারি করেনি প্রশাসন। সেপ্রসঙ্গ তুলে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ”যে পুলিশ অফিসাররা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা অত্যন্ত রুক্ষভাবে আমাদের ফিরে যেতে বলেন। আমরা চেষ্টা করেছিলাম তাঁদের বোঝানোর। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এক ঘণ্টা পরে ফিরে আসতে হয় আমাদের। মনে হচ্ছি দিল্লি-গাজিপুর সীমান্ত যেন ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তরেখা!”

বিরোধীদের অভিযোগ, ধরনায় বসা কৃষকদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করা হচ্ছে। জল সরবরাহ ও বিদ্যুতের পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। বন্ধ ইন্টারনেটও। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পোর্টেবল শৌচাগারও। এই ধরনের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে বিরোধীদের দাবি, কৃষকদের সঙ্গে পুরোপুরি দমনমূলক নীতি নিয়েছে সরকার। যা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। তাঁদের আরও দাবি, ধরনায় বসা কৃষকদের এর জন্য ভয়ংকর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের। আপাতত সংসদে কৃষক আন্দোলনের বিষয়টি আলোচনা করতে চাইছে বিরোধীরা। কিন্তু সরকার তাতে এখনও রাজি হয়নি।

পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ গ্রেটা থুনবার্গ (Greta Thunberg), মার্কিন পপ তারকা রিহানা (Rihanna)-সহ বহু বিদেশি সেলেব্রিটিই মুখ খুলেছেন কৃষকদের সমর্থনে। বিষয়টিকে ভালভাবে নেয়নি মোদি সরকার। অমিত শাহ ও অন্য বিজেপি নেতারা তুলোধোনা করেছেন সেই সেলেবদের। তাঁদের মতে, এর পিছনে কোনও আন্তর্জাতিক শক্তির হাত রয়েছে। তবে এই সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন কৃষকরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, তাঁরা রিহানা কিংবা গ্রেটাকে না চিনলেও যেভাবে তাঁরা কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন, তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

[আরও পড়ুন: প্রোপাগান্ডা করে ভারতের ঐক্য ভাঙা যাবে না, বিদেশি তারকাদের তোপ অমিত শাহর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement