সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা রুখতে একপ্রকার আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। ভোট মিটতেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠছে, কদিন আগেই জোরকদমে ভোটের প্রচার চলছিল, আর ভোট মিটতেই এভাবে সব বন্ধ করে দেওয়া কেন? যদিও, ‘মানুষের প্রাণ বাঁচাতে’ রাজ্য সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে সমর্থনই করছে বিরোধীরা। বিজেপি বলছে, এটা রাজনীতির সময় নয়। সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আছে তারা। একই সুর কংগ্রেসেরও।
বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে রাজ্যের আট দফার নির্বাচন প্রক্রিয়া। ফলপ্রকাশ আগামী রবিবার। তারপরই শপথ নেবে নতুন সরকার। ঠিক দু’দিন আগেই নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হল, রেস্তরাঁ, শপিং মল, বার, স্পা, বিউটি পার্লার, সুইমিং পুল, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও জিম। সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং যে কোনও ধরনের জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বেঁধে দেওয়া হয়েছে বাজার খোলার সময়সীমা। সকাল ৭টা থেকে ১০ টা ও বিকেলে ৩ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত এই পাঁচ ঘণ্টা খোলা থাকবে বাজার।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ, বন্ধ শপিং মল-রেস্তরাঁ, বাজারের সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্য]
রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত। এটা নিয়ে কোনও রাজনীতি চাই না। এই সময় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে থাকা প্রয়োজন। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে করোনা রুখতে, তার সঙ্গে আমরা থাকব। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে সরকারকে বিঁধলেও, রাজ্য সরকার যে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে তার পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের একটাই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। করোনা সংক্রমণ থেকে বাংলাকে বাঁচানো। ভ্যাকসিন দেওয়া, ওষুধের ব্যবস্থা করা। করোনাকে ঠেকানোর জন্য যা যা করার দরকার করুক। লকডাউনেও আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। মানুষকে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। সেসব আটকাতে হবে।” তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, “আমরা মানুষকে নিয়ে চলি। মানুষকে নিয়েই চলব। এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন। বিরোধীরা কী বলছে তাতে যায় আসে না।”