shono
Advertisement

Breaking News

করোনা কেড়েছে মা-বাবাকে, দশম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া ছাত্রীকে ২৯ লক্ষ টাকা শোধের নোটিস

মহামারীতে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরেও দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৯.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয় বনিশা।
Posted: 09:10 PM Jun 05, 2022Updated: 09:17 PM Jun 05, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর শোক সামলে তাঁর দুরন্ত লড়াইয়ের কথা জানে ভোপাল-সহ গোটা মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। কোভিডে (Covid) মৃত্যু হয় বাবা-মায়ের। ফলে কিশোরীর কাঁধেই এসে পড়ে ছোটভাইয়ের দেখভালের দায়িত্ব। এরপরেও দশম শ্রেণির পরীক্ষায় রাজ্যে সেরা হয়েছে বনিশা পাঠক (Vanisha Pathak)। যার পর তার কথা মানুষর মুখে মুখে। কিন্তু নতুন অস্বস্তিতে ১৭ বছরের কিশোরী। বাবার নেওয়া গৃহঋণের বকেয়া মেটাতে আইনি নোটিশ পাঠানো হচ্ছে তাকে। ফেরাতে হবে ২৯ লক্ষ টাকা। বর্তমানে তার পক্ষে ঋণের কিস্তি মেটানো সম্ভব না, একথা জানানোর পরেও কর্তৃপক্ষ শুনতে চাইছে না, অভিযোগ বনিশার।

Advertisement

বনিশার বাবা জিতেন্দ্র পাঠক ছিলেন এলআইসি (LIC) এজেন্ট। মিলিয়ন ডলার রাউন্ড টেবিল বীমা ক্লাবের সদস্য ছিলেন। যদিও তা অতীত। কারণ ভয়ংকর বিপর্যয় ঘটে পাঠক পরিবারে। ২০২১ সালের মে মাসে মৃত্যু হয় জিতেন্দ্রর, কয়েক দিন পর মৃত্যু হয় বনিশার মা সীমা পাঠকেরও। ১১ বছরের ছোটভাইকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়ে বনিশা। পাশে দাঁড়ান মামা। ওই সময় থেকেই পেশায় অধ্যাপক মামা অশোক শর্মার বাড়িতে থাকে বনিশা ও তার ভাই। এরপর তীব্র শোক সামলে অসাধ্য সাধন করে সে। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়। প্রায় একশ শতাংশ নম্বর পায়। যে ঘটনার পর বনিশার লড়াইয়ের কথা জানতে পারে রাজ্যবাসী। কিন্তু নতুন গোল বেঁধেছে।

[আরও পড়ুন: কৃত্রিম বাঁধে স্নান করতে নামাই কাল, জলে তলিয়ে মৃত্যু সাত নাবালিকার]

গত কয়েক মাসে একাধিকবার বনিশার বাবা মৃত জীতেন্দ্র পাঠকের নামে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে এলআইসি। সেখানে জানানো হয়েছে, বকেয়া ২৯ লক্ষ টাকা না মেটালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এলআইসি কর্তৃপক্ষকে সে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তার পক্ষে ঋণ শোধ করা সম্ভব না। অন্যতম কারণ, অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বাবার জমানো টাকা, মাসে মাসে প্রাপ্ত কমিশন তুলতে পারছে না সে। বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব না। বনিশা ও তার মামার অভিযোগ, এরপরেও আইনি নোটিশ পাঠিয়ে চলেছে কর্তৃপক্ষ। যদিও মামা অশোক শর্মা ও বনিশার ধারনা ছিল, যেহেতু বনিশার বাবা নিজে একজন এলআইসি কর্মী ছিলেন, ফলে তারা কিছুটা সুবিধা পাবে। কিন্তু তা হয়নি।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিজেপি, ফিরছে ১৯৯০-এর ভয়াবহ স্মৃতি, তোপ কেজরির]

তবে সম্প্রতি ভোপালের এলআইসি কর্তারা বনিশার মামাকে মৌখিকভাবে আস্বস্ত করেছেন। জানানো হয়েছে, বনিশা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী নোটিশ পাঠানো হবে না। এইসঙ্গে জানানো হয়েছে, বনিশার আবেদন এলআইসির কেন্দ্রীয় অফিসে পাঠানো হয়েছে। এরপরেও কিন্তু ভয় পাচ্ছে বনিশা। ছোট্ট জীবনে এত বিপর্যয় দেখে ফেলার জন্যই হয়তো এই ভয়! সে চাইছে এলআইসি চিঠি দিয়ে জানাক তার ১৮ বছর বয়স অবধি অপেক্ষা করা হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement