সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) গুপ্তচর সংস্থা ISI সীমান্তরেখা দিয়ে অস্ত্র পাচারের কাজে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের ব্যবহার করতে চাইছে। কেবল জম্মু ও কাশ্মীর নয়, গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়েও পাকিস্তান থেকে অস্ত্র চোরাচালান চলবে ওই জঙ্গিদের কাজে লাগিয়ে। প্রতিবেশী দেশের এই নয়া ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
এমনিতেই ভারতের উপর হামলা চালাতে জম্মু ও কাশ্মীর বরাবর আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখা পেরিয়ে দেশে অনুপ্রবেশের নানা রকম ফন্দি করে জঙ্গিরা। তাদের গতিবিধি নিয়ে নতুন করে তদন্তে নেমেই এমন তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের খালিস্তানি জঙ্গি দলগুলিকে ইতিমধ্যেই সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র পাচারের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে আইএসআই। প্রতি মুহূর্তে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তান ও তাদের এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে। আগেও ড্রোনের সাহায্যে অস্ত্র ও টাকা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তারা। ভারতীয় সেনা বহুবার পাকিস্তানের নাশকতা চালানোর এই ধরনের ছক বানচাল করে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভোটের ফল বেরলেই বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা, দুই শীর্ষ নেতাকে বিহারে পাঠাল কংগ্রেস]
এদিকে, আজ জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির রাষ্ট্রীয় রাইফেল ক্যাম্পে এক ভারতীয় সেনা অফিসারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর রহস্যময় মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত মেজর বিনীত গুলিয়ার দেহটি পাওয়া গিয়েছে থানামন্ডি অঞ্চলে। রাজৌরির পুলিশ সুপার চন্দন কোহলির কথায়, ‘‘ওঁর মাথায় বুলেটের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: ‘সবই বাবা বিশ্বনাথের কৃপা’, বারাণসীতে নতুন প্রকল্প উদ্বোধনের পর ‘ভক্তিমূলক’ মন্তব্য মোদির]
রবিবার কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের সময় তিন পাকিস্তানি জঙ্গিকে খতম করেন ভারতীয় নিরাপত্তাকর্মীরা। ঘটনাটি ঘটে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাচিল সেক্টরে। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে একে-৪৭ রাইফেল ও দুটি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই লড়াইয়ে শহিদ হন বিএসএফের এক কনস্টেবলও। তাঁর নাম সুদীপ সরকার। অন্যদিকে, রবিবার সকালে কুপওয়ারা জেলার কেরন সেক্টরের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে যৌথ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা ও বিএসএফ। উভয়পক্ষের লড়াইয়ের ফলে বিএসএফের একজন ও ভারতীয় সেনার দু’জন জওয়ান শহিদ হন। তবে অস্ত্র চালান নিয়ে গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিকতম সতর্কবার্তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।