সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরিত্রের দিক থেকে একটুও পরিবর্তন হয়নি ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের। এখনও পাক সেনা সেখানকার সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিয়ে চলেছে। উদ্দেশ্য কাশ্মীর তথা সারা ভারতে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করা এবং সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুকে তুলে ধরা। এমনটাই মনে করছেন একদল মার্কিন গবেষক। দক্ষিণ এশিয়া বিশারদ দশজন গবেষক মিলে এমনই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। যতবারই দু’দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করেছেন, ততবারই ব্যাঘাত ঘটিয়েছে পাক সেনা। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়।
ভারতীয় প্রেমিকের সঙ্গে হিন্দুমতে বিয়ে সারলেন মার্কিনি তরুণী
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কীরকম হওয়া উচিত সেটাই লেখা হয়েছে ‘আ নিউ ইউএস অ্যাপ্রোচ টু পাকিস্তান: এনফোর্সিং এইড কন্ডিশনস উইথ আউট কাটিং টাইস’ নামের রিপোর্টটিতে। আগামী শুক্রবার প্রকাশিত রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতের অন্দরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে পাক সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা বরাবর সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে মদত জুগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি কাশ্মীর ইস্যুটি যাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উঠে আসে সেই চেষ্টাও করা হয়।’ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতের প্রতি বিদেশনীতি এবং নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে চলেছে পাক সেনা। ভারত সম্পর্কে পাকিস্তানের এই ভীতি একেবারেই ভিত্তিহীন। ভারত হয়তো কাশ্মীর সীমান্ত নিয়ে কথাবার্তা বলতে ইচ্ছুক নয়, তবে ভারতীয় নেতাদের মধ্যে কয়েকজন সবসময় পাকিস্তানের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেষ্টা চালিয়েছেন। যাতে সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা কম হয়।
‘সাইকো’ উদয়নকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠাল আদালত
‘শুধু জঙ্গিদের মদত দেওয়া নয়, ভারতকে লক্ষ্য করে নিজেদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারও প্রতিদিন বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান। যার মধ্যে রয়েছে পরমাণু বোমা, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি।’ রিপোর্টে জানান হয়েছে। এছাড়া ওখানে আরও বলা হয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি পাকিস্তানকে নিজেদের স্বর্গরাজ্য মনে করে। আঞ্চলিক সমস্যা মেটাতে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিলেও সেটা আমেরিকার জন্যও ক্ষতিকারক, তাদের সেটা বুঝতে হবে। এছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি করার সময় এটাও মাথায় রাখতে হবে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যেন সেই পরমাণু অস্ত্রসংক্রান্ত কোনও তথ্য চলে না যায়।’