সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এদেশে বাক স্বাধীনতার জায়গাটা ক্রমশ সংকীর্ণ হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আড়ি পাতছে প্রশাসন। একটু এদিক-ওদিক হলে সোজা শ্রীঘরে। হাতকড়া। এবার পাক ভূখণ্ডে লঘু পাপে গুরু দণ্ডের অভিযোগ উঠল। হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ ঘিরে যত বিতর্ক। তাতে ধর্মের অবমাননা হয়েছে। এই অভিযোগে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল পাকিস্তানের আদালত।
[হাক্কানি নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দিতে পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা ]
সাজাপ্রাপ্ত পাক নাগরিক হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর বন্ধুকে একটি কবিতা পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ কবিতার বিষয় খুবই স্পর্শকাতর। এতে নাকি হজরত মহম্মদকে অবমাননা করা হয়েছে। এই অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে সে দেশের একটি আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে বিষয়টি সামনে আনেন ইয়াসির বশির। তিনি জানিয়েছিলেন নাদিম জেমসের নামে তাঁর এক বন্ধু একটি কবিতা পাঠান। ওই কবিতার ছত্রে ছত্রে হজরত মহম্মদ ও ইসলামের অন্যান্য ব্যক্তিত্বদের নিয়ে অবমাননাকর কথা লেখা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কিছু পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেমসের আইনজীবী আনজুম ওয়াকিলের কথায়, তাঁর মক্কেল এই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করবেন। কারণ একজন মুসলমান মহিলার সঙ্গে জেমসের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে বিষয়টি সেভাবে তদন্ত না করেই হাতকড়া পড়ানো হয় জেমসকে। বিচারেও পক্ষপাতিত্ব হয়েছে।
[জাপান, জার্মানিকে ছাপিয়ে অর্থনীতিতে তৃতীয় বৃহত্তম হওয়ায় এগিয়ে ভারতই]
ইসলাম অবমাননা পাকিস্তানে অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। ১৯৯০ থেকে এপর্যন্ত পাকিস্তানে এই ইস্যুতে ৬৭ জনকে হত্যার করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংখ্যালঘুরা এর শিকার হয়েছেন। সবথেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে। কোরান পোড়ানোর অভিযোগে ওই বছর এক খ্রিস্টান দম্পতিকে বেধড়ক মারধরের পর চুল্লির উপর ফেলে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। পরে জানা গিয়েছিল অভিযোগ মিথ্যা।
The post হোয়াটসঅ্যাপে মহম্মদের অবমাননা, মৃত্যুদণ্ড পাক নাগরিকের appeared first on Sangbad Pratidin.