সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের দেশে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা। অথচ বিপদ মোকাবিলায় অন্য দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে এতটুকুও কার্পণ্য নেই পাকিস্তানের (Pakistan)। কম্পন বিধ্বস্ত তুরস্ক পুনর্গঠনের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থসাহায্য করলেন এক পাক নাগরিক। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) জানিয়েছেন, আমেরিকার তুর্কি দূতাবাসে গিয়ে ৩ কোটি মার্কিন ডলার তুলে দেওয়া হয়েছে সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে। পাক নাগরিকের এই ভূমিকায় অনেকেই কটাক্ষ করেছেন। নিজের দেশ যেখানে দেউলিয়া হয়ে কেন অন্যের জন্য এতটা খরচ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ টুইট করে তুরস্ককে (Turkey) সাহায্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানিয়েছেন, ”তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ঘটনায় আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। আমেরিকায় বসবাসকারী আমাদের এক নাগরিক সেখানকার তুরস্ক দূতাবাসে গিয়ে ৩ কোটি ডলার সাহায্যের জন্য দিয়ে এসেছে। আমরা এই কাজে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত। এভাবেই বিপদের মুহূর্তে সব কিছুর ঊর্ধ্বে মানবতার জয় হয়ে এসেছে চিরকাল।”
তবে পাক নাগরিকের এহেন উদ্যোগ নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়েছে সেখানকার সাংবাদিক মহলে। আয়েশা সিদ্দিক নামে এক সাংবাদিকের কটাক্ষ, ”যিনি তুরস্ককে সাহায্য করতে গিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানের খাদ্য সংকটের সময় অর্থ দিলেন না কেন, তা ভেবে অবাক হচ্ছি।” আরেক সাংবাদিক রীতিমতো রাগত স্বরেই বলছেন, ”নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কেন পাকিস্তানকে অর্থ না দিয়ে তুরস্ককে সাহায্য করলেন?”
[আরও পড়ুন: মেলায় ‘মত কি কুয়া’ ঘিরে গতির খেলা, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপর থেকে নিচে বাইক পড়ে আহত ১০]
কোষাগারে টান পড়ায় মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে পাকিস্তানে। রান্নার গ্যাস (LPG), ভোজ্য তেল অমিল। এছাড়া একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণের নাগালের বাইরে। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও মাঝেমাঝে ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কাছে হাত পেতেছিল পাকিস্তান। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর একাধিক শর্তসাপেক্ষে ১১০ কোটি ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছে আইএমএফ (IMF)। তাতে সাময়িকভাবে আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে পাকিস্তান। এমনই অবস্থা যে দেশের, তারা কীভাবে তুরস্ককে ৩ কোটি ডলার সাহায্য করল, তা সমালোচনার বিষয় বইকী।