সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ জটিল হচ্ছে পল্লবী দে’র (Pallavi Dey) মৃত্যু রহস্য। আর্থিক অবস্থা, প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক, বিলাসবহুল জীবনযাপন, সবকিছু নিয়েই কাটা ছেঁড়া চলছে। তবে সকলের নিশানায় প্রেমিক সাগ্নিক। তার বিরুদ্ধে উঠছে নানা অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সাগ্নিকের হয়ে সওয়াল করলেন ‘স্ত্রী’ সুকন্যা মান্না। দাবি করলেন, খুন করার মতোই ছেলেই নয় সাগ্নিক। যদিও টানা জেরার পর মঙ্গলবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাগ্নিককে।
পল্লবীর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে আরও দুটো নাম, সাগ্নিক-সুকন্যা। হাওড়ার বাসিন্দা সাগ্নিক পল্লবীর প্রেমিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় একসঙ্গে তাঁদের প্রচুর ছবি। কিন্তু সুকন্যা মান্না? জানা গিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে সুকন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক সাগ্নিকের। বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তাঁরা। সেই মতো রেজিস্ট্রির আবেদনও জমা করেছিলেন। তাতে সই করেছিলেন পল্লবী। কিন্তু হঠাৎই বদলে যেতে থাকে সম্পর্কের সমীকরণ। সুকন্যার দাবি, রেজিস্ট্রির আবেদনের পর থেকেই সাগ্নিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে পল্লবীর। তা নজর এড়ায়নি সুকন্যার।
[আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে থানায় এফআইআর করুন’, বিধায়কদের কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]
সুকন্যার দাবি, পল্লবীর মাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। পরিবার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। সুকন্যার কথায়, “রেজিস্ট্রির বিষয়টা জেনেও যে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে তাঁকে ভাল মেয়ে বলা যায় না। পল্লবী ভাল মেয়ে নয়। তবে আমি অশান্তি চাইনি। আর যেখানে দুজনই আমার বন্ধু সেখানে এসবে না জড়িয়ে আমি সরে গিয়েছিলাম। তারপর ইন্সটাগ্রামে ওদের ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছি যে সম্পর্কটা পাকাপাকি হয়েছে।”
তবে প্রেমিকা পল্লবীর থেকে টাকা নিত সাগ্নিক, এই দাবি মানতে নারাজ সুকন্যা। তাঁর দাবি, সাগ্নিক অবস্থাপন্ন পরিবারের ছেলে। এদিকে পল্লবীর আর্থিক অবস্থা কোনওদিনই ভাল ছিল না। ফলে ৮০ লাখি ফ্ল্যাট কেনা অসম্ভব। পাশাপাশি সুকন্যার প্রশ্ন, যদি ওই টাকা পেয়ে থাকে পল্লবী, সেক্ষেত্রে সোর্স কী? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তরুণী। কয়েকদিনের ঘটনার পরও সুকন্যার দাবি, সাগ্নিক খুন করেনি। সে খুন করতেই পারে না। তবে ঠিক কী হয়েছিল পল্লবীর সঙ্গে? কী ঘটেছিল শনিবার রাতে? উত্তর অজানা।