সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পানাগড় দুর্ঘটনার তিনদিন পার হলেও কাউকে এখনও আটক বা গ্রেপ্তার করা যায়নি। আর তা নিয়ে 'নীরব' পুলিশ। যা পরতে পরতে রহস্য বাড়াচ্ছে। 'নিশ্চুপ' পুলিশ সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় দুর্ঘটনা নিয়ে আরও জল্পনা বাড়িয়েছে। সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল তা নিয়ে মনে হয় পুলিশও নিশ্চিত নয়।
বুধবার সুতন্দ্রার গাড়িতে থাকা তিন আরোহীর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয় পুলিশের তরফে। তারপরেও একের পর এক প্রশ্ন উঠছে। যার সদুত্তর খুঁজছে গোটা রাজ্য। শুধুই কি রেষারেষির বলি সুতন্দ্রা? রেষারেষির কারণ কী শুধুই ধাক্কা? কেন বাবলু যাদবের গাড়িকে ধাওয়া করেছিল সুতন্দ্রাদের গাড়ি? এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর নেই কারোরই কাছে।
বুধবার সকাল থেকে প্রচার হয় বাবলুকে ধরা হয়েছে বর্ধমান থেকে। বেলা গড়াতেই পুলিশ তা অস্বীকার করে। বাবলু যাদব আটক কিনা তা নিয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশ কর্তারা। এদিকে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে সুতন্দ্রার মৃত্যুর তদন্ত করছে পুলিশ। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোল, কী-ই বা পাওয়া গেল তা নিয়েও নিশ্চুপ পুলিশ। পুলিশের এই 'নিশ্চুপ' অবস্থানে সন্দেহ আরও বাড়ছে। কাউকে আড়াল করতেই কী 'নিশ্চুপ' পুলিশ? প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও ধোঁয়াশা ভরা।
এদিন সুতন্দ্রার গাড়িতে থাকা তিন সহযাত্রী কাঁকসা থানায় আসেন। এরমধ্যে বর্ধমান নিবাসী মন্টু ঘোষ সুতন্দ্রার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ম্যানেজার বলে জানা গিয়েছে। মন্টুবাবু ও তাঁর দাদাকে এদিন দুপুরে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় গোপন জবানবন্দি দিতে। এদিনও দফায় দফায় কাঁকসা থানায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ ও কমিশনারেটের আধিকারিকরা এসেছেন। জেরা করার কেউ না থাকলে তাঁরা থানায় এলেন কেন? জবাব নেই। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান, "জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির দুই আরোহীকে। কী চাইছে তাঁরা, কী বলছে তাঁরা তাই আদালতের মাধ্যমে রেকর্ড করতেই এই সিদ্ধান্ত। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তল্লাশি চলছে।"