সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সামনে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। আর এটাই চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে কার্যত ‘অ্যাসিড টেস্ট’ সব রাজনৈতিক দলের কাছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা সুযোগমতো লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিও ঝালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Habour) ফলতা অর্থাৎ নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ অনুষ্ঠানে সেই লোকসভা লড়াইয়েরই ডাক দিয়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্য, ”একুশের ভোটে যে ব্যবধান ছিল, তা ২৩-এ বাড়বে, চব্বিশে সেই ব্যবধান আরও বাড়বে।”
২০১৪ সাল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ। ২০১৯-এ দ্বিতীয়বার সাংসদ হওয়ার পর থেকে তিনি প্রতি বছর নিজের কাজের খতিয়ান প্রকাশ করেন। অনেকটা ‘রিপোর্ট কার্ড’ স্টাইলে এধরনের খতিয়ান পেশ জনগণের স্বার্থেই। এবারও ফলতা থেকে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ নামে এক বই প্রকাশ করলেন সাংসদ (TMC MP)। তাতে গত ১ বছরে কী কী কাজ হয়েছে সেখানে, তার বিস্তারিত রয়েছে। এদিন অভিষেকের সঙ্গে বই প্রকাশে শামিল হলেন এলাকায় সব বিধায়ক।
সেই মঞ্চ থেকেই অভিষেক বড় রাজনৈতিক লড়াইয়ের ডাক দিলেন। বিজেপি (BJP) বিরোধিতায় শান দিলেন আরও খানিকটা। বললেন, ”বিজেপির সঙ্গে তো টাকা-ইডি-সিবিআই। আর আমাদের সঙ্গে আছে মানুষ। মনে রাখবেন, ইডি-সিবিআইরা ভোট দেয় না। ভোট দেয় জনতা-জনার্দন। আর আমি জানি, সেই ভোট, সেই সমর্থন আমাদের সঙ্গেই আছে। এবার জেলা পরিষদের সবকটি আসনে জিতবে তৃণমূল।” পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানিয়ে অভিষেকের বক্তব্য, ”হাই কোর্ট আমাদের খুব সুবিধা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা বলে। সব জায়গায় থাকুক কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবু সব জায়গাতেই জিতবে তৃণমূল।”
[আরও পড়ুন: প্রথম হলিউড ছবিতেই উপেক্ষিত! ভক্তরা চটতেই মুখ খুললেন আলিয়া ভাট]
এদিন স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সন্তানদের বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া নিয়েও গর্জে ওঠেন অভিষেক। বলেন, ”আমার ৩ বছরের ছেলে আর ৯ বছরের মেয়েকেও বাইরে যেতে দিচ্ছে না ইডি। এত প্রতিহিংসা! সব কিছুতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু এভাবে আমাকে দমানো যাবে না। যতদিন রাজনীতিতে আছিস, মাথা উঁচু করে লড়াই করব। যখন রাজনীতি ছেড়ে দেব, তখন ছেড়েই দেব। অন্যভাবে জনগণের সেবা করব।” তাঁর বক্তব্যের এই অংশ নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেরিয়ারের এমন সফলতম সময়ে কেন যুব নেতার মুখে ‘রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া’র কথা?