সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: পঞ্চায়েত ভোটের (WB Panchayat Election) আগে ফের অশান্ত জঙ্গলমহলের একাংশ। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে (Jhargram) মাওবাদীদের নামাঙ্কিত একগুচ্ছ পোস্টার পড়ল। আর তা নিয়ে শোরগোল জামবনি থানার চিল্কিগড়ে। সেখানে কনকদুর্গা মন্দিরের কাছে জঙ্গলে পোস্টারগুলি চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে তৃণমূল (TMC) ও রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় একাধিক বক্তব্য লেখা। সেইসঙ্গে হুমকি, ‘২০১০-১১ সালের মতো এবার তৃণমূলকে বিদায় দেওয়া হবে’। ‘আবার রক্ত ঝরবে’। তবে এই পোস্টার আদৌ মাওবাদীদের নাকি তৃণমূল-বিজেপি তরজা শুরু হয়েছে। আর পুলিশের দাবি, এসব ভুয়ো পোস্টার।
জামবনি থানার চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির। ঝাড়গ্রামের পর্যটনে অত্যন্ত জনপ্রিয় এলাকা এই মন্দির। আর এই মন্দিরের কাছেই মাওবাদী পোস্টার (Mao poster) উদ্ধার ঘিরে মঙ্গলবার ছড়াল চাঞ্চল্য। তৃণমূলের নেতাদের রক্ত ঝরবে জঙ্গলমহলে – এমন হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে লালকালিতে লেখা পোস্টার পড়েছে। পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির কথাও লেখা রয়েছে। তৃণমূলকে বিদায় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে পোস্টারে।
[আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: অভিষেকের সফরে ঠাকুরবাড়িতে অশান্তি মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের]
যদিও শাসকদলের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করতে এসব পোস্টার বিজেপির কাজ। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের(TMC) সহ-সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গী বলেন, “বিজেপি, সিপিএম এক হয়ে সিট ভাগাভাগি করছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে একটা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরির করতে এরা এই সব করছে। এগুলি মাওবাদীদের পোস্টার নয়।” জেলা বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক তরুণ বেজ বলেন, “বিজেপির কারও সঙ্গে জোট করার প্রয়োজন পড়েনি। জনগণ আমাদের পাশে আছে। তৃণমূলের দুর্নীতি সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীরাই পোস্টার সাঁটিয়েছে। এখন বিজেপিকে বদনাম করার জন্য দোষ দিচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: মণিপুরে সেনা শাসন চেয়ে দ্রুত শুনানির আরজি কুকিদের, খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট]
ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, “এগুলি মাওবাদীদের পোস্টার নয়। এগুলি ভুয়ো। স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে। এর আগেও পোস্টার লাগানোর ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছিল। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে।”