অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: তৃণমূল নেতৃত্বের উসকানিতে পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) সমিতির প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদে রাস্তা অবরোধ করে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। দলীয় সভা শেষে ফেরার পথে ওই অবরোধ শামিল হন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। সেই অবরোধ কর্মসূচি থেকে রাজ্যে শাসকদল তৃণমূলকে একহাত নেন তিনি।
বলেন, “বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। এর জন্য তৃণমূল নেতাদের জ্বালা ধরেছে। সেই জন্য তৃণমূলের শাহ আলম সরকারের নেতৃত্বে ও তার বাহিনী কংগ্রেস কর্মী ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী কুদ্দুস আলির বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে কংগ্রেসিরা অবরোধ শুরু করেছে। আমরা তাঁকে সমর্থন করছি। এই হচ্ছে বাংলার অবস্থা। এই হামলা চলবে না।” যদিও পরে সেই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের পর কাটোয়া, গোয়ালঘরে মজুত বোমা তৈরির প্রচুর মশলা]
শনিবার সন্ধ্যা ছ’টা থেকে রাত ৭ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শেখপাড়ায় ওই অবরোধ চলে। তারপর ঘটনায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধ তুলে নেওয়ার সেটাও একটা কারন বলে জানান কংগ্রেসের ব্লক সভানেত্রী মমতাজ বেগম হীরা। কংগ্রেস নেতা জাহাঙ্গির ফকির জানান, “এর আগে ৮ জুন আমাদের ব্লক সভানেত্রী মমতাজ বেগম হীরাকে মারধর করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রধান আসামী শাহ আলম সরকার। আবার আজকের ঘটনাতেও শাহ আলম সরকার প্রধান অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেপ্তার করার দাবিতেই আমরা অবরোধে বসেছিলাম। পুলিশ রবিবার দুপুর পর্যন্ত ব্যবস্থা নেবে বলেছে । সেই আশ্বাস পেয়ে এবং কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরির নির্দেশে অবরোধ তুলে নিলাম।”
এদিকে কংগ্রেসের অবরোধকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রানিনগর ২ ব্লকের সভাপতি শাহ আলম সরকার জানান, “শুক্রবার রাতে গোধনপাড়ায় চায়ের দোকানে বসে থাকা আমাদের দলীয় কর্মী মইফুল শেখ ও নুরাবুল ইসলাম কুদ্দুস আলির নেতৃত্বে আক্রান্ত হয়েছিল। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর ওই ঘটনায় কুদ্দুস প্রধান আসামী। অথচ পুলিশ না কি তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। তারই প্রতিবাদে আমরা মিছিল করার জন্য রানিনগরে থানার পাশে পেট্রোল পাম্পের কাছে কর্মীদের জমায়েত হচ্ছিল। সেই সময় কুদ্দুস তার বাড়ির ছাদ থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে ইট মারতে থাকে। তখন কর্মীরা তার প্রতিরোধ করেছে।” তৃণমূলের যুব নেতা মিজান হাসান জানান, “সাধারণত ওই পেট্রোল পাম্প থেকেই আমাদের মিছিল হয়। আজকেও তার প্রস্তুতি চলছিল তখনই কুদ্দুস কর্মীদের প্ররোচি করে।”
[আরও পড়ুন: দণ্ডি কাণ্ডে আগাম জামিন বালুরঘাটের তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর, শুরু নয়া বিতর্ক]
যদি ১৪ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি আসনের কংগ্রেস প্রার্থী কুদ্দুস আলি জানান, “সকালে আমাদের মোটরবাইক মিছিল ছিল। সেটা শেষ করে বাড়িতেই ছিলাম। সেই সময় শাহ আলম সরকার ও তৃণমূলের যুব সভাপতি মিজান হাসানের নেতৃত্বে এক – দেড়শ লোক জড়ো করে আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছে।” কংগ্রেস নেতা জাহাঙ্গির ফকির জানান“ ঘটনার সময় এলাকায় পুলিশের অফিসারেরা উপস্থিত ছিল। তা সত্বেও ওই ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। যার কারনে আমাদের এই ক্ষোভ।”