সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ত্রিপুরার স্থানীয় ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। তাহলে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) আধা সামরিক বাহিনী কেন? কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পরই খোঁচা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তবে এটা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৃণমূলের কোনও মাথাব্যথা নেই। উলটোদিকে বিজেপির তরফে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাই কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। একইসঙ্গে রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের শাসকদল সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই পথ বন্ধ করতে শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছে বিজেপি।
মনোনয়ন পেশের সময় বৃদ্ধি-সহ বিরোধীদের একাধিক দাবি নস্যাৎ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরই আস্থা রেখে তাদের উপরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দিয়েছে আদালত। তবে রাজ্য়ে স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর রায়কে স্বাগত জানিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: মনোনয়ন পেশের সময় প্রার্থীর সন্তানকে আগলালেন অগ্নিমিত্রা, সৌজন্যের নামে খোঁচা তৃণমূল নেতাকে!]
টুইটারে দলের মুখপাত্র বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে লেখেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আমাদের এতটুকু মাথাব্যথা নেই। একুশে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী, কমিশন, আট দফার ভোট, অফিসার বদলি সত্ত্বেও তৃণমূল বিপুলভাবে জিতেছিল।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমাদের বক্তব্য শুধু, অন্য রাজ্য, এমনকী, ত্রিপুরাতে স্থানীয় ভোটের সন্ত্রাসে কেন্দ্রীয় বাহিনী না গেলেও বাংলার জন্যে কেন?”
অন্যদিকে রায়কে স্বাগত জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকে রাজ্যে হিংসা চলছে। মহামান্য আদালত সেটা দেখেছে। আমাদের আরজি মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। তৃণমূলের গুন্ডামি চলবে না।” তবে তাঁর আশঙ্কা, হাই কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার বা তৃণমূল। সেই একতরফা প্রচেষ্টা রুখতে বুধবার সকালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করবেন তিনি।