অরূপ বসাক, মালবাজার: জনতার ভিড়ে মিশে তাঁদের একজন হয়ে যাওয়াই তাঁর ইউএসপি। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এক যুগ পেরিয়ে যাওয়ার পরও মাটির মানুষই রয়েছেন তিনি। সেই জোরেই ভিআইপি নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপ পেরিয়ে তিনি অনায়াসে পৌঁছে যান জনতার দরবারে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote 2023) প্রচারে নেমেও একই কায়দায় সারলেন জনসংযোগ। ডুয়ার্সে পৌঁছে হয়ে উঠলেন ‘ঘরের মেয়ে’। সোমবার বিকেলের চালসা পৌঁছেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই রাস্তার ধারে এক চায়ের দোকানে নিজের হাতে বানালেন চা, মোমো। বিলিয়ে দিলেন সকলকে।
সোমবার কোচবিহারের চান্দামারিতে জনসভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন থেকেই পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করলেন তিনি। কোচবিহারের সভা শেষ করেই নেত্রী চলে যান ডুয়ার্সে (Dooars)। সেখানে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্ফীতি নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তৃণমূল নেত্রী জানান, ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের আত্রেয়ী নদী ফুলেফেঁপে ওঠে, যার জেরে বিপাকে পড়েন নদী তীরবর্তী মানুষজন। তা নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, ভুটান (Bhutan) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে রিভার কমিশনের কর্তারা কথা বলবেন এ বিষয়ে। শুধু উত্তরবঙ্গে নদীই নয়, এই সমস্যায় ভুগছে মালদহ, মুর্শিদাবাদও। বৃষ্টি হলেই সেখানে প্লাবন, নদীভাঙনের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, ড্রেজিংয়ের উপর জোর দেন।
[আরও পডুন: বনগাঁয় বিজেপি-কংগ্রেস জোটের ব্যানার ভাইরাল নেটদুনিয়ায়! অধীরকে বিঁধলেন দেবাংশু]
এই বৈঠকের পর চালসার সিংক্লিয়ারস হোটেলে খানিক বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে ফের হাঁটতে বেরন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখে ডুয়ার্সবাসী কার্যত ঘিরে ধরেন। তিনিও মিশে যান তাঁদের সঙ্গে। এরপরই রাস্তার ধারে এক ছোট্ট চা দোকানে ঢুকে পড়েন। নিজেই চা-মোমো বানাতে হাত লাগান। দোকান থেকে বেরিয়ে হাসিমুখে বলেন, ”আমরা সবাই মিলে একটু চা-মোমো খেলাম। আমিও বানালাম।”