দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে ঝরল রক্ত। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে (Basanti)গুলিতে ‘খুন’ যুব তৃণমূল কর্মী। শনিবার রাতে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকায় তিনি বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় গুলি (Shootout) চলে। গুরুতর আহত অবস্থায় জিয়াউল মোল্লা নামে ওই যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর রাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধে থেকে বাসন্তী এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা চলছিল। ভোটের প্রচারকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সদস্যদের মধ্যে তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সেসময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। লাঠিচার্জও (Lathicharge) করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর সন্ধের দিকে ফের নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাত ৯টা নাগাদ গুলি চলে ফুলমালঞ্চ এলাকায়।
[আরও পড়ুন: ফ্রান্সের হিংসা থামাতে চাই যোগী আদিত্যনাথকে! একমত উত্তরপ্রদেশ সরকারও]
ওই সময়ে রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ফুলমালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা, বছর চল্লিশের জিয়াউল। তিনি এলাকায় যুব তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, বাইক নিয়ে এসে তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি চালায়। মাথায় ও পেটে গুলি লাগে তাঁর। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জিয়াউল। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এনিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হল। \
[আরও পড়ুন: স্বামীর রোষে বাদ পড়েছিল কব্জি, কৃত্রিম হাতে লিখেই নির্মমতার কাহিনি মলাটবন্দি করলেন রেণু]
এমনিতেই বাসন্তী-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় যুব তৃণমূলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে তৃণমূলের। জিয়াউলের উপর হামলাও সেই দ্বন্দ্বেরই অংশ কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা জানান, ”চারজন এসে জিয়াউলকে গুলি করে খুন করেছে। কারা করেছে, জানি না। ও দলের সক্রিয় কর্মী ছিল। যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত, কোনও রং না দেখে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। দলও এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।”