কৃষ্ণকুমার দাস: ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের সাম্মানিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার আর সেই ভাতা আর হাতেগরম নগদে মিলবে না। এবার সরাসরি প্রত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
এতদিন ভাতা বা সাম্মানিক নগদে পঞ্চায়েত, সমিতি, জেলা পরিষদ দপ্তর থেকে দেওয়া হত। শুধু তাই নয়, বছরে পর বছর বহু সমিতি বা জেলাপরিষদে এই ভাতা বকেয়া পড়ে থাকত। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পঞ্চায়েত সদস্য, সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের সাম্মানিক বা ভাতা একেবারে নবান্ন থেকে সরাসরি সমস্ত জনপ্রতিনিধির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার বিধানসভায় এই তথ্য জানান পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী পুলক রায়।
[আরও পড়ুন: মানতে পারেননি রক্তক্ষয়ী রুশ আগ্রাসন, পদত্যাগ করলেন পুতিনের উপদেষ্টা, ছাড়ছেন দেশও]
বেশ কিছু জেলায় পাওনা বকেয়া ছিল। সাত -আট বছর পর্যন্ত ‘আপ টু ডেট’ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ১৯৯৩ সালে বাম পঞ্চায়েত জমানায় পঞ্চায়েত সদস্যদের মাসিক ভাতা ছিল ২২ টাকা তা বৃদ্ধি করে তিন হাজার টাকা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত প্রধান ৫ হাজার, সমিতির সদস্য সাড়ে তিন হাজার, সভাপতি ছয় হাজার এবং জেলাপরিষদ সদস্য ৫ হাজার এবং সভাধিপতি ৯ হাজার টাকা সাম্মানিকও সরাসরি ব্যাংকে যাচ্ছে।
এদিকে দেশের প্রথম এ রাজ্যেই পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালু করতে চেয়েছিলেন প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর অধরা স্বপ্ন এবার বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে। বিধানসভায় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, রাজ্যে দ্রুত চালু হবে পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মতই পুরুষদের গ্রুপ বা গোষ্ঠী তৈরি হবে। গ্রুপগুলি ছোট ছোট ব্যবসার কাজে যুক্ত হবে। সেই কাজে সাহায্য করবে সরকার।