সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কুলপিতে কংগ্রেস বুথ সভাপতিকে খুনে জারি ধরপাকড়। চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল খাসমুর হোসেন হালদার, মনোয়ার হোসেন হালদার, আমিরুল হালদার ও আহমাদুল্লাহ হালদার। ধৃতদের মধ্যে খাসমুর ও মনোয়ার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮৯ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী নুরুদ্দিন হালদারের পুত্র। ধৃতরা সকলেই কুলপির দৌলতপুরের বাসিন্দা।
কংগ্রেস নেতা খুনের অভিযোগে নিহতের পরিবার ৩৫ জনের নামে ঢোলাহাট থানায় এফআইআর দায়ের করে। এফআইআরে নাম রয়েছে সকলের। ধৃত চারজনকে শুক্রবার কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন: বঙ্গবাসীর মন ছুঁতে পারছে না ‘জয় শ্রী রাম’! ‘জয় মা দুর্গা’, ‘জয় মা কালী’ ধ্বনির ভাবনা বিজেপির]
কংগ্রেস-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, ওই এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নির্দল প্রার্থী গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সমস্ত বিরোধী দলই নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করেছে। এদিকে নির্দল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন দৌলতপুরে কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আলফাজউদ্দিন হালদার। তারই প্রতিশোধ নিতে ঢোলাহাট থানার চুনফুলি মোড়ে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
যদিও কুলপি ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুপ্রিয় হালদার জানান, "ধৃতরা তৃণমূল সমর্থক। কিন্তু দলের সঙ্গে তাদের সরাসরি কোনও যোগসূত্র নেই। সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদে আলফাজউদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।" তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে থমথমে কুলপি।