সুদীপ রায়চৌধুরী: কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশ মেনে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মতো এবার আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি লিখে বাড়তি ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছেন কমিশনার রাজীব সিনহা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে হাই কোর্টের রায়ের বিরোধিতা না করে সেই নির্দেশকেই মান্যতা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)।
এর আগে প্রতি জেলার জন্য ১ কোম্পানি করে মোট ২২ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। তা নিয়েই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ভর্ৎসনা করেছিল। জানানো হয়, নিদেনপক্ষে ২০১৩সালের মতো বা তার চেয়ে বেশি বাহিনী চাইতে হবে নিরাপদে ভোট করাতে হলে। এর বিরোধিতায় কমিশন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে বলে জল্পনা দেখা দেয়। তবে সেসব বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সূত্রের খবর, বিকেলে স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা ও এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম পৌঁছন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিন্যাস নিয়ে আলোচনা হতে পারে তাঁদের মধ্যে। এরপর রাজীব সিনহা জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করবেন।
[আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের চেষ্টা! বাধা দেওয়ায় ছুড়ে ফেলা হল তরুণী ও তাঁর আত্মীয়কে]
বুধবারই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এই মামলায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, “২০১৩ সালে যে পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন ছিল, তার থেকে কম বাহিনী চাইলে হবে না। বরং তার থেকে বেশি চাইতে হবে, কারণ এখন জেলার সংখ্যা বেশি। কমিশন আদালতের আগের নির্দেশকে মান্যতা দেয়নি। কমিশন মূল্যায়নের কাজ সততার সঙ্গে এবং নিরপেক্ষভাবে করবে বলে আদালত আশা করে। কেন কমিশন স্বতন্ত্রভাবে কেনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না, সেটা স্পষ্ট নয়।”
[আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: তিনি কি পদত্যাগ করতে পারেন? জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন রাজীব সিনহা]
এরপর বৃহস্পতিবার দিনভর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাজে যোগ দেওয়া নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। রাজীব সিনহার ‘জয়েনিং লেটার’ রাজ্যপাল গ্রহণ না করে ফেরত পাঠিয়েছেন বলে খবর। কমিশনারকে নিয়োগ করার পক্ষে রাজ্যপাল সুপারিশ করলেও, এখন জয়েনিং লেটার প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও নিয়োগ বাতিলের খবর নেই বলে দাবি রাজীব সিনহা ও মুখ্যমন্ত্রীর। এ নিয়ে দিনভর চাপানউতোরের মধ্যেই হাই কোর্টের নির্দেশ মানার পথেই হাঁটল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠালেন রাজীব সিনহা।