সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দেশের নাম করা ক্রীড়াবিদ৷ ২০১৩ প্যারা এশিয়ান সাইক্লিং চ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া রুপোজয়ী সাইক্লিস্ট৷ তা সত্ত্বেও বিমানবন্দরে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হতে হল হায়দরাবাদের আদিত্য মেহতাকে৷ একবার নয়৷ দু’বার৷ প্রথমবার বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে আর গত মঙ্গলবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে৷
দিন কয়েক আগে নিজের আদিত্য মেহতা ফাউন্ডেশনের প্রচারে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন আদিত্য৷ প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের জন্য কাজ করে তাঁর সংস্থাটি৷ কিন্তু বেঙ্গালুরু গিয়ে যে এভাবে হেনস্তা হতে হবে, তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি৷ বন্দরে চেকিংয়ের সময় আদিত্যকে তাঁর পোশাকের পাশাপাশি কৃত্রিম পাও খুলতে বলা হয়৷ বন্দরের কর্মীদের বক্তব্য, সিকিউরিটি চেকিংয়ে জন্য নাকি কৃত্রিম পা খোলার নিয়ম রয়েছে৷ তাই কৃত্রিম পা না খুললে তাঁকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়৷
এ তো গেল বেঙ্গালুরুর দৃশ্য৷ ছবিটা পাল্টাল না দেশের রাজধানীতেও৷ দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার বিমানে চড়ছিলেন তিনি৷ তার আগে সেই একই অপমানের শিকার হন আদিত্য৷ তাঁর সঙ্গে অন্তত্য খারাপ আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ প্যারা-সাইক্লিস্টের৷ দুটি ঘটনাতেই দারুণ রেগে গিয়েছেন রুপোজয়ী ক্রীড়াবিদ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে আদিত্য জানিয়েছিলেন, “চারদিন ধরে প্রচার সেরে ফিরছি৷ তা সত্ত্বেও দিল্লি বিমানবন্দরে আবার আমাকে কৃত্রিম পা খুলতে বলা হয়৷ একজন সাব-ইন্সপেক্টরের কথা বলার মধ্যে ন্যূনতম ভদ্রতাটুকুও নেই৷ সাফ বলে দিলেন, যতক্ষণ না সিকিউরিটি চেকিংয়ের জন্য কৃত্রিম পা খুলব, তিনি আমায় ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেবেন না৷” এর আগে বেঙ্গালুরুতে হেনস্তা হওয়ার ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন তিনি৷
সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী পি অশোক গজপতি রাজুকে টুইটারে আদিত্যর প্রশ্ন, “প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে কি বন্দর কর্তৃপক্ষর কর্মীরা এমন আচরণই করেন? এই আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক৷” সিআইএসএফ-এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ অসামরিক বিমান পরিবহণের ডিজি জানান, “নিয়মের বেড়াজালে পড়েই কৃত্রিম পা খুলে চেক করতে হয় আমাদের৷”
The post কৃত্রিম পা খুলিয়ে তল্লাশি, বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার ক্রীড়াবিদ appeared first on Sangbad Pratidin.