অর্ণব দাস, বারাকপুর: বারাকপুরে আর নয় গুণ্ডারাজ! বদলে চলবে সৌজন্যের রাজনীতি। লোকসভা ভোটে টিকিট পাওয়ার পরই বারাকপুরে গুন্ডারাজ খতমের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। মঙ্গলবার বিজেপির অর্জুন সিংকে হারিয়ে নতুন সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন 'হ্যালো স্যার'। আর পার্থর জয়ের পরই তাঁর 'বাণী' মাথায় রেখে বারাকপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ দাস সটান হাজির বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে। তাঁদেরকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি মিষ্টি মুখও করালেন তিনি।
বারাকপুর (Barrackpur Lok Sabha) বরাবরই হাইভোল্টেজ লোকসভা কেন্দ্র। বাংলার এই 'কুরক্ষেত্রে' পার্থ-অর্জুন একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তৃণমূলের তরফে পার্থকে প্রার্থী ঘোষণা করায় ফের একবার ঘাসফুল শিবির থেকে পদ্মে প্রত্যাবর্তন করেন অর্জুন (Arjun Singh)। তবে ভোটযুদ্ধে শেষ হাসি হাসলেন নৈহাটির পার্থ ভৌমিকই (Partha Bhowmick)। প্রার্থী পদ পাওয়ার পরই তিনি গুন্ডারাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কথা দিয়েছিলেন, বারাকপুরে বজায় রাখবেন সৌজন্যের রাজনীতি। মঙ্গলবার তাঁর কথা মতোই বারাকপুর পুরসভার কাউন্সিলর বিশ্বদীপ তাঁর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে পৌঁছে যান। প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের তরফে এমন সৌজন্য দেখে আপ্লুত বিজেপি কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও।
[আরও পড়ুন: পদ্মনাগের ছোবল! চব্বিশের ভোটের পর দেশে অপ্রাসঙ্গিক একাধিক দল]
প্রসঙ্গে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর জয়দীপ দাস জানান, "২০০১ সালে সিপিএম এবং ২০১৯ সালে বিজেপি জেতার পর বারাকপুরে আমাদের কর্মীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার হয়েছিল। সাংসদ পার্থ ভৌমিকের (Partha Bhowmick) প্রতিশ্রুতি মতো এটা আমরা চাই না। যে যাঁর মতো রাজনৈতিক দল করতে পারে। আমি ওয়ার্ডের বিজেপির (BJP) ১৪ জন বুথ এজেন্টের বাড়ি গিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করেছি। মিষ্টি মুখ করিয়ে বলেছি, আগামীতে কোনও নির্বাচনে ওঁরা জিতলে যেন, আমাদের মিষ্টি খাওয়ায়।"
স্থানীয় বিজেপি নেতা উজ্জ্বল কর্মকারের বাড়ি গিয়েছিলেন তৃণমল কাউন্সিলর। তাঁর এহেন ব্যবহারে আপ্লুত হন ওই বিজেপি নেতা ও তাঁর পরিবার। উজ্জ্বল কর্মকার বলেন, "এক কথায় অপ্রত্যাশিত। এটাই হওয়া উচিত।"