কলহার মুখোপাধ্যায়: ফের অটো চালকদের দাদাগিরি! এবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে এক যাত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার দমদম ক্যান্টনমেন্ট। অভিযোগ, অটো ইউনিয়ন অফিসে ঢুকিয়ে ওই যাত্রীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। শেষে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাঁচেন তিনি।
[‘শীতলার স্নানযাত্রা’য় ডিজে রুখতে একজোট সালকিয়ার বাসিন্দারা]
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যায়। কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অভিজিৎ বিশ্বাস। দমদম ক্যান্টনমেন্টেই থাকেন তিনি।রাস্তায় একটি অটো সেসময় বেপরোয়াভাবে চালিয়ে আসছিল। অভিযোগ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অভিজিৎবাবুকে ধাক্কা মারে অটোটি। তিনি পড়ে যান। এরপর ঘটনাস্থলেই প্রতিবাদ শুরু করেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও পাত্তা না দিয়ে অটোটি দূরন্ত গতিতে বেরিয়ে যায় সেখান থেকে। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ অভিজিৎবাবু ওই অটো চালকদের ইউনিয়নের অফিসে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু অফিসে গিয়ে তিনি দেখেন, সেখানেই উপস্থিত রয়েছে সেই অভিযুক্ত চালক। সব কথা খুলে বলার আগেই সম্মিলিতভাবে অভিজিৎবাবুর উপর হামলা চালায় অটো চালকরা। রীতিমতো ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় তারা। মেরে ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। কোনও অভিযোগই শোনা হয়নি। কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রানে বাঁচেন অভিজিৎবাবু। থানায় অভিযুক্ত অটোচালকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। শনিবার সকালে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত আক্রান্ত অভিজিৎ বিশ্বাস। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। ক্ষুদ্ধ দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, যাত্রীদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার। গাড়ি ছাড়তে দেরি করা। আর খুচরোর সমস্যা তো লেগেই রয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলে অটোচালকদের থেকে গালিগালাজ শুনতে হয়। খুচরো না দিলে অটো থেকে নামিয়েও দেওয়া হয়। যাত্রীদের আরও অভিযোগ, স্থানীয় নেতাদের প্রশ্রয়েই এমনটা হচ্ছে। একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও প্রতিকার হয়নি। উল্টে অটো চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন চালকরা। তাই নিতান্ত বাধ্য হয়েই অনেকে প্রতিবাদ করা ছেড়ে দিয়েছেন।
[ গ্রন্থের আবরণ তৈরির নেশাকে পেশা করে প্রত্যেক বইমেলায় হাজির এই ব্যক্তি]