shono
Advertisement

ভারতের মোট জিডিপি বাংলাদেশের ১১ গুণ! IMF-এর আশঙ্কা উড়িয়ে ঘোষণা কেন্দ্রের

শীঘ্রই মাথাপিছু সম্পর্কের বিচারে ভারতকে টপকে যাবে বাংলাদেশ, দাবি করেছিল IMF।
Posted: 03:30 PM Oct 15, 2020Updated: 03:30 PM Oct 15, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মাথা পিছু জাতীয় উৎপাদন নাকি বাংলাদেশের থেকেও কম হবে। করোনা পরবর্তীকালে দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার বা আইএমএফ (IMF)। যা নিয়ে দেশের মাটিতে বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়েছে সরকারের। বিরোধীরা বলছে, কোথায় ভারতের লড়াই করার কথা আমেরিকা, চিনের সঙ্গে। আর কোথায় লড়তে হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে। খোদ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে এই ইস্যুতে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। বিরোধীদের এ হেন চাপের মুখে এবার অর্থনীতি নিয়ে সাফাই দিল কেন্দ্র।

Advertisement

এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন,”২০১৯ সাল পর্যন্ত হিসেবে ভারতের মোট জিডিপির (GDP) পরিমাণ বাংলাদেশের ১১ গুণ। শুধু মোদি সরকারের আমলেই দেশে মাথাপিছু সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” ওই আধিকারিকের দাবি, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে কোনও মাপকাঠিতেই ভারতের ধারে কাছে নেই। তাই বাংলাদেশ ভারতকে জাতীয় গড় উৎপাদনে টপকে যাবে, এটা ভাবাটাই বোকামি। ওই আধিকারিক বলছেন,”মোদি জমানায় দেশের পার ক্যাপিটা জিডিপি বেড়েছে ৩০.৭ শতাংশ। আগে যেটা ৮৩ হাজার ৯১ টাকা ছিল। এখন সেটা ১ লক্ষ ৮ হাজার ৬২০ টাকা।” মোদি সরকারের দাবি, পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারের আমলেও মাথাপিছু সম্পত্তির পরিমাণ এতটা বাড়েনি। যেটা কেউ পারেনি সেটা করে দেখিয়েছে এই সরকার। সেদিক থেকে দেখতে গেলে বাংলাদেশ এখনও এই ধরণের বিকাশের ধারেকাছে আসেনি। তাই বাংলাদেশ ভারতকে টপকানোর সম্ভাবনা নেই।

[আরও পড়ুন: শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নে কেন্দ্রের নয়া প্রকল্প ‘স্টারস’, ফের ব্রাত্য থেকে গেল রাজ্য]

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভারতের অর্থনীতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। IMF বলছে, আশঙ্কার চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতের গত ত্রৈমাসিক আর্থিক বৃদ্ধি। এর জন্য কার্যত লকডাউনকেই দায়ী করেছে আইএমএফ। আর্থিক বৃদ্ধির হার সংকুচিত হলে ভারতে মাথা পিছু জিডিপি দাঁড়াবে ১৮৭৭ ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশের মাথা পিছু জিডিপি চার শতাংশ বেড়ে হবে ১৮৮৮ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার কিছু বেশি। কিন্তু ভারত বলছে, না তেমন আশঙ্কা নেই। বছরশেষে বাংলাদেশের থেকে অনেকটাই উপরে শেষ করবে ভারত।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement