গত ২২ নভেম্বর এনএফও হিসাবে খুলেছে অ্যাক্সিস মিউচুয়ালের অ্যাক্সিস মোমেনটাম ফান্ড। দীর্ঘমেয়াদে ক্যাপিটাল গ্রোথ এনে দেওয়াই এর উদ্দেশ্য বলে সংস্থার দাবি। তথ্য সংকলনে টিম সঞ্চয়
নতুন ফান্ডের প্রস্তাব এনেছে অ্যাক্সিস মিউচুয়াল। Axis Momentum Fund (যা ২২ শে নভেম্বর এনএফও হিসাবে খুলেছে) বিভিন্ন ‘ফ্যাক্টর’ অনুযায়ী স্টকে বিনিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকটি প্রাসঙ্গিক তথ্য।
১- এনএফও পিরিয়ড: ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ পর্যন্ত
২- ওপেন-এন্ড ইক্যুইটি স্কিম, মোমেন্টাম থিম নির্ভর প্রস্তাব
৩- বেঞ্চমার্ক সূচক: Nifty 500 Total Return Index
৪- অ্যালোকেশন: সাধারণভাবে অন্তত ৮০% সেইসব স্টকে লগ্নি করা হবে যেখানে মোমেন্টার্মের শর্ত পূরণ করা সম্ভব।
৫- প্রয়োজনে ২০% পর্যন্ত ডেট সিকুইরিটিজে বিনিয়োগ করতে পারবেন ফান্ড ম্যানেজার। এছাড়া ১০% অ্যাসেট রিয়েল এস্টেটেও লগ্নি করা যাবে।
৬- উদ্দেশ্য: দীর্ঘ মেয়াদে ক্যাপিটাল গ্রোথ এনে দেওয়া, তবে রিটার্নের কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া সম্ভব নয়।
৭- রিস্কের মাত্রা: সেবির নির্দেশিত রিস্কোমিটার (Riskometer) অনুযায়ী “Very High” বলে গণ্য।
৮- কোনও বিশেষ মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের প্রতি পক্ষপাত দেখানো হবে না, অ্যাক্সিস মিউচুয়ালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
কীভাবে বেছে নেওয়া হবে স্টক?
“এলিমিনেশন” নিয়ে নির্দিষ্ট বক্তব্য রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। প্রাইস মোমেন্টামের গতিবিধি অনুযায়ী স্টক বেছে নেওয়া হবে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। গ্রাহকদের জন্য এও জানানো হয়েছে যে পোর্টফোলিও গঠন করার ক্ষেত্রে বিশেষ কয়েকটি “ফ্যাক্টর” মেনে চলা হবে। এছাড়াও রিব্যালেন্সিং করার বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতি মেনে চলবেন ফান্ড ম্যানেজার। তাঁরা একটি বিশেষ মডেল তৈরি করেছেন।
ক- তিন বছরের “রোলিং রিটার্ন” দেখেল এই মডেল ৯৬% সময়ে পজিটিভ রিটার্ন আনতে পেরেছে।
খ- গত ১১ বছরের হিসাব খতিয়ে দেখলে এই মডেল বেঞ্চমার্কটিকে প্রায় ৭৭% বার হারিয়ে দিতে পেরেছে।
কর্তৃপক্ষের মতে এই জাতীয় ফান্ডের একটিই মুখ্য উদ্দেশ্য: “বাই হাই, সেল হায়ার”। মোমেন্টাম কৌশলে বিভিন্ন ফ্যাক্টর-ভিত্তিক লগ্নির মাধ্যমে রিটার্ন আনার চেষ্টা করা হয়। দুটি বিশিষ্ট ফ্যাক্টর হিসাবে “কোয়ালিটি” এবং “ভ্যালু” চিহ্নিত করা হয়েছে। এও জানানো হয়েছে, মোমেন্টাম কৌশল বহু ক্ষেত্রে Nifty 500 জাতীয় বড় মাপের সূচকের পারফর্ম্যান্স ছাপিয়ে গিয়েছে বিগত কয়েক বছরে।
সঞ্চয়-এর সংযোজন: কিছুকাল যাবৎ ফ্যাক্টর-নির্ভর স্ট্র্যাটেজির প্রয়োগ ভারতীয় বাজারে চোখে পড়ছে খুব বেশি রকম। বোঝাই যাচ্ছে লগ্নিকারীরা এই কৌশলের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন, ফ্যাক্টর-ভিত্তিক ফান্ডে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন। আগামী দিনে এই জাতীয় প্রকল্প আরও বেশি সংখ্যায় দেখা যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই প্রসঙ্গে বলা উচিত যে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা এই ধরনের প্রোডাক্ট বাজারে সহজলভ্য করে তুলেছে। অ্যাক্সিসের প্রকল্পটি সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। তবে আরও যে প্রকল্প শীঘ্র এসে পড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
বস্তুত, ইতিমধ্যেই ICICI Prudential Equity Minimum Variance Fund নামে আরও একটি এনএফও’র খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষত যেগুলো “লো ভোলাটিলিটি” বলে চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলোতেই নজর রাখবেন সংশ্লিষ্ট ফান্ড ম্যানেজার। এক্ষাত্রেও “ভেরি হাই” রিস্ক আছে বলে জানানো হয়েছে রিস্কোমিটারের নিয়ম অনুযায়ী। এই মুহূর্তে ডাইভারসিফিকেশন যথেষ্ট আছে নিফটির পঞ্চাশটি স্টকে, এমনই মনে করছেন আইইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল কর্তৃপক্ষ।