সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডুরান্ড কাপ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় মাঝমাঠ থেকে ওই সর্পিল দৌড়ে দ্রিমি দ্রিমি কেঁপে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। তার পরেই বাঁ পায়ের গোলা আছড়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গলের জালে। পেত্রাতোস একাই ডুরান্ড কাপ নিয়ে গিয়েছিলেন মোহনবাগানের সাজঘরে।
কাট টু ওড়িশা। ডুরান্ডে পেত্রাতোসই ছিলেন নায়ক। মোহন সমর্থকদের নয়েনর মণি। সুপার কাপে তিনিই কি ভিলেন? লেমন ব্রেকে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে গোল করার সোনার সুযোগ হেলায় ওড়ালেন।
পেত্রাতোস এ কী করলেন? পেনাল্টি স্পট থেকে গোললাইন পৃথিবীর রহস্যময় সরণী।এই সরণীতে দিগভ্রষ্ট হয়েছেন বহু তারকা। পেত্রাতোসও পথ হারালেন। কিয়ান নাসিরির গড়ানে শট পেনাল্টি বক্সের ভিতরে হিজাজির হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। পেনাল্টি স্পট থেকে পেত্রাতোস গোল নষ্ট করার বান্দা নন।
ডার্বির আগে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেই অভিজ্ঞ গোলকিপার কাট্টিমণিকে পরাস্ত করে গোল করেছিলেন পেনাল্টি থেকে। তারপরে বুক বাজিয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অনুষ্টুপ-অভিষেকের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরল বাংলা, বড় রানের লিড পাবে?]
এদিন পেত্রাতোসের শট ইস্টবঙ্গলের পোস্ট লেগে ফিরে আসে। তার আগে অবশ্য পেনাল্টি থেকে অজি তারকা গোল করলেও সেই গোল নাকচ করে দেন রেফারি। ফিরতি শটটাও একই দিকে মারলেন পেত্রাতোস। পোস্টে আছড়ে পড়ল তাঁর গোলা। স্বস্তি পেলেন হিজাজি। ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার প্রভশুখন গিলের তখন কেঁদে ফেলার অবস্থা।
ইস্টবেঙ্গল জীবন ফিরে পেল। অভিজ্ঞ পেত্রাতোস উপলব্ধি করলেন জেতা ম্যাচ তিনি মাঠেই ফেলে এলেন। বিরতির ঠিক আগে গোল পেয়ে গেলে মোহনবাগান দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে থেকে শুরু করত। ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নিত। পেত্রাতোস সেই সুযোগ নষ্ট করলেন।
দ্বিতীয়ার্ধ অন্য ছবি দেখল। ইস্টবেঙ্গল জোড়া গোল করে ম্যাচ নিয়ে গেল নিজেদের ক্যাম্পে। মোহনবাগান সমর্থকরাও হার অনিবার্য দেখে খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়লেন।
ডুরান্ড ফাইনালে পেত্রাতোস ছিলেন নায়ক। এদিনও নায়ক হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেন অজি তারকা। দলের এই বিপর্যয়ের তিনিই কারণ হয়ে থাকলেন।
