সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আমেরিকার বিশেষজ্ঞদের কাছেও জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়ে গেল ফাইজার (Pfizer) বায়োএনটেকের করোনা টিকা। ফাইজারের টিকা ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সি নাগরিকদের জন্য কতটা নিরাপদ, বা সামান্য ঝুঁকি উপেক্ষা করে এই টিকায় ছাড়পত্র দেওয়া যায় কিনা, তা নির্ধারণ করতে গতকাল বৈঠকে বসেছিল মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (US Food and Drug Administration )। বৈঠকে ফাইজারের পক্ষেই পড়েছে সিংহভাগ বিশেষজ্ঞের ভোট। টিকাটির জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন কমিটির ১৭ জন সদস্য। ছাড়পত্র দেওয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র চারজন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে মার্কিন সরকার সাতটি করোনা টিকার (Corona Vaccine) প্রস্তুতিতে সমর্থন করছে। এর মধ্যে চারটিই রয়েছে বৃহত্তর ক্ষেত্রে তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে। এর মধ্যে দু’টির প্রস্তুতকারক হল ফাইজার এবং মোডার্না। আর এই দুই সংস্থাই ‘ইইউএ’ অর্থাৎ ‘এমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন’ বা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগে ছাড়পত্র চেয়েছে। এফডিএ’র সেন্টার ফর বায়োলজিক্স ইভালুয়েশন অ্যান্ড রিসার্চর (যারা ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়) প্রধান ড. পিটার মার্কস জানিয়েছেন, “আমরা ভ্যাকসিন টাইমলান কমিয়ে এনেছি ঠিকই কিন্তু তাতে তার সক্রিয়তা এবং নিরাপত্তার কোনও খামতি হয়নি।” ফাইজারের তরফে এফডিএ-র কাছে ১০ হাজার পৃষ্ঠার টিকা সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হয়েছিল গভীর বিশ্লেষণের জন্য। যা বিশ্লেষণের পর টিকাটির ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশেষজ্ঞ এই কমিটি। এবার সরকার শিলমোহর দিলেই এই টিকা আমেরিকার সাধারণ নাগরিকরা ব্যবহার করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: বাহরিনের পর এবার ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিল সৌদি আরবও]
আমেরিকায় ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ার অর্থ হল, ব্রিটেন-সহ মোট পাঁচ দেশ ফাইজারের টিকায় ছাড়পত্র দিয়ে দিল। ব্রিটেন, আমেরিকা ছাড়াও সৌদি এবং বাহারিন টিকাটির ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে। ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে কানাডাও। ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ। ফাইজার-বায়োএনটেক ভারতেও নিজেদের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। ভারতের DCGI এখনও টিকাটিতে ছাড়পত্র দেয়নি। আপাতত DCGI-এর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় গোটা দেশ।