রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফোন ‘ট্যাপ’ হচ্ছে। পার্টির কোনও আলোচনা করতে হলে হোয়াটসঅ্যাপ কল অথবা দেখা করে সাক্ষাতে বলুন। দলীয় বৈঠকে রাজ্য নেতাদের সতর্ক করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
[জেলে আফতাবের জন্য এলাহি আয়োজন, মেনুতে থাকবে মাছ ও পাঁঠার মাংস]
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার এলগিন রোডে রাজ্য পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননরা। ছিলেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়। সূত্রের খবর, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কৈলাস রাজ্য নেতাদের বলেন, “পার্টির ভিতরের কথা। কোনও রাজনৈতিক কথাবার্তা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা বা বলার থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ কল করুন। সাক্ষাতে আলোচনা করুন। ফোনে কল করবেন না। পুলিশ ফোন ট্যাপ করছে বলে আমার কাছে খবর আছে।” দলীয় সূত্রে খবর, কোন কোন নেতার ফোন ট্যাপ হচ্ছে তাঁদের একটা তালিকাও কৈলাস বৈঠকে দেখিয়েছেন। এদিকে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মূলত লোকসভা ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করার বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বুথ সংগঠন নিয়ে রাজ্যের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে কিছুটা মতানৈক্য হয় বলে খবর। একজনের বক্তব্য ছিল, এখনও বুথ সংগঠন সেভাবে গড়ে ওঠেনি। অন্যজনের দাবি, যথেষ্ট বুথ সংগঠন রয়েছে। সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই লড়তে হচ্ছে। রথযাত্রাকে সফল করতে কীভাবে এগোতে হবে তার একটা গাইড লাইনও এদিন দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পুজোর পরই বিধানসভা পিছু বাইক মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রথযাত্রায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে আসারও তোড়জোড় চলছে বলে জানা গিয়েছে।
[২০ দিনেই মাঝেরহাটে তৈরি বিকল্প রাস্তা, আজ খুলছে বেইলি সেতু]
এদিন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এনআরসি কেন জরুরি তা বাংলার মানুষকে বোঝানো এবং নাগরিকত্ব বিল নিয়ে লাগাতার প্রচার চলবে। লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত বাংলায় স্থায়ীভাবে থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ ও অরবিন্দ মেননরা। দলীয় সূত্রে খবর, শরৎ বোস রোডে পবন রুইয়ার একটি বাড়ি আগামী ৬ মাসের জন্য ভাড়া নিয়েছে বিজেপি। যেখানে কৈলাস বিজয়বর্গীয় থাকবেন। আর এক কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ বেলেঘাটায় দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটে থাকবেন। অরবিন্দ মেননেরও বাড়ি দেখা হচ্ছে। বুধবার রাতে কলকাতায় এসে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন অরবিন্দ মেনন। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দলের সংগঠনের অবস্থাটা বুঝে নেন মেনন। এদিন রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতা দাবি করেন, আসন্ন কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দু’টি রাজ্যে যদি জেতে তাহলে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির বিজেপিতে আসা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। তৃণমূলে যাবেন না অধীর।