Advertisement
বিসর্জনের পর বাড়িতে রাখেন কালীর খাঁড়া? সামান্য ভুলেই হতে পারে ভয়ংকর পরিণতি!
অধিকাংশ শক্তি মূর্তির হাতেই প্রধান অস্ত্র হিসেবে থাকে এই খড়গ।
কালী শক্তির প্রতীক। আর সেই শক্তির মূল আধার হল খড়গ। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের অনেকেই দেবীর অস্ত্র সম্পর্কে ঠিক এই ব্যাখ্যাই দেন। তাই কালী মূর্তির মতো ভক্তিভরে পুজো করা হয় খড়গও। যেসব মন্দিরে বলির চল রয়েছে, সেখানে আলাদাভাবে খড়গ পুজোর নিয়মও রয়েছে। তাই অনেকেই মনে করেন দেবীর খড়গ বাড়িতে রেখে দেওয়া অত্যন্ত শুভ।
কিন্তু সত্যিই কি এমনটা করা উচিত? কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। এক্ষেত্রেও কথাটি ভীষণভাবে প্রযোজ্য। তবে মূল প্রসঙ্গে আসার আগে জানতে হবে, দেবীর হাতের খড়গ আসেলে কি? শাস্ত্রে দেবীর এই অস্ত্রটিকে শক্তিরস্বরূপ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এমনকি শ্রীশ্রী চন্ডীতেও বলা হয়েছে, ‘খড়্গ আমাদের রক্ষা করুক।’দেবী দুর্গার হাতেও এই অস্ত্র দেখা যায়। এমনকি অধিকাংশ শক্তি মূর্তির হাতেই প্রধান অস্ত্র হিসেবে থাকে এই খড়গ।
বলির খড়গ যে কোনও অবস্থায় বাড়িতে রাখা একেবারেই উচিত নয়। কারণ খোলা অবস্থায় খড়গ রেখে দিলে তার ধার নষ্ট হয়ে যায়। যাতে বলির সময় বাধা সৃষ্টি হতে পারে। শাস্ত্রমতে এমনটা হওয়া অত্যন্ত অশুভ। কিন্তু মণ্ডপে যে কালিমূর্তি থাকে, তার হাতে প্রতীকী খড়গ দেখা যায়। মূর্তি বিসর্জনের পর সেই খড়গ বাড়িতে এনে রাখা যেতেই পারে।
মনে করা হয়, এমনটা করলে সারাবছর সব ধরনের বিপদের হাত থেকে ওই খড়গ রক্ষা করবে। যদিও শাস্ত্রমতে দেবীর বিসর্জনের সময় পুজোয় ব্যবহৃত যাবতীয় জিনিস জলে নিক্ষেপ করাই নিয়ম। সেইমতো খাঁড়াও জলে ফেলে দেওয়া উচিত।
তবু অনেকেই সেকথা মাথায় না রেখে বাড়িতে খাঁড়া নিয়ে আসেন। সেই অর্থে মনের ভক্তি নিয়ে কেউ যদি এমনটা করেন, তাহলে ক্ষতির সম্ভাবনাও নেই।
শাস্ত্র যা মান্যতা দেয় না, তা করার আগে অনেকেই দুবার ভাবতে পারেন। তাই এক্ষেত্রে একটা উপায় হতে পারে। সম্ভব হলে, রুপো বা পিতলের একটি প্রতীকী খড়গ তৈরি করিয়ে নিন। কালীপুজোর দিনে সেটাই মায়ের হাতে রাখুন।
সঙ্গে থাকুক সাধারণ মূর্তির সঙ্গে দেওয়া লোহার খড়গও। তবে বিসর্জনের সময় স্রেফ লোহার খড়গটাই মূর্তির সঙ্গে জলে ফেলুন। আর পিতল বা রুপোর খড়গ বাড়িতে রেখে দিন। তাতে শাস্ত্রের বিরোধিতাও হয় না, আবার পরিবারকে সবরকম বিপদের হাত থেকেও রক্ষা করা যায়।
শাস্ত্রমতে সাধারণ কোনও অস্ত্র দিয়ে বলি দেওয়ার নিয়ম নেই। যে কোনও বলিতেই মূলত ব্যবহার করা হয় খড়গ। দেবী মূর্তিতে যে খড়গ দেখা যায়, বলির খড়গ তার থেকে আকারে অনেকটাই বড় হয়। পুজোর আগে সেই খড়গ ভালোভাবে পরিষ্কার করে দেবীর পায়ের কাছে রাখা হয়। তারপর পুজো চলাকালীন সেখানে থাকে খড়গ। বলির সময়, সিঁদুর দিয়ে বিশেষ কিছু চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয় খড়গে। তারপর সেই খড়গ দিয়েই বলি সম্পন্ন হয়।
Published By: Sayani SenPosted: 03:45 PM Oct 18, 2025Updated: 03:45 PM Oct 18, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
