গোবিন্দ রায়: এবার মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডে (Matia Rape Case) জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন কংগ্রেসের আইনজীবী সুমিত্রা নিয়োগী। নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া এলাকায়। উপহারের লোভ দেখিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, নির্যাতিতা আপাতত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ভরতি। শুক্রবার রাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে তাঁর যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। নির্যাতিতা সংকটজনক অবস্থায় এইচডিইউতে (HDU) ভরতি। তার চিকিৎসার স্বার্থে গঠিত হয়েছে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ দু’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: কিশোরী কন্যার ধর্ষককে খুন করে টুকরো দেহ নদীতে ভাসালেন বাবা]
মাটিয়া থানা এলাকার নেহালপুরের বাসিন্দা বছর এগারোর ওই কিশোরী। মাটিয়া গ্রামে (Matia Village) তাঁর আত্মীয়ার বাড়ি। দিদির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই আত্মীয়া তাঁর পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দেয় ওই কিশোরীকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ছেলেটির সঙ্গে কিশোরীর দেখাও করান তিনি। উপহারের লোভ দেখিয়ে বাইকে চাপিয়ে কিশোরীকে মাটিয়া গ্রামের একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত শহর আলি সরদার। সেখানেই কিশোরীর উপর পাশবিক অত্যাচার (Rape) চালায় সে।
পুলিশের দাবি, অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত শহর আলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছে সেই আত্মীয়াও। শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এবার আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টের।