গোবিন্দ রায়: রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার (Cow Smuggling) রুখতে কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। এবার এই ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। মামলায় যুক্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও (Home Minister Amit Shah)। চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
গরু পাচার নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারী রমাপ্রসাদ সরকারের অভিযোগ, রাজ্যের সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে রমরমিয়ে চলছে গরু পাচার। সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে কোথাও রয়েছে সিআইএসএফ, কোথাও বিএসএফ। কিন্তু তাদের নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে চলছে পাচার? এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল এদিন।
[আরও পড়ুন: প্রাইমারি টেটেও পাশ না করে চাকরি! বেআইনি নিয়োগে হাই কোর্টে দায়ের মামলা]
গরু পাচার মামলায় রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। নিয়মিত তাঁদের সিবিআই হাজিরা দিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বারবার কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন ছিল, সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে বিএসএফ, সিআইএসএফরা। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাহলে গরু পাচারের দায় কীভাবে রাজ্যের ঘাড়ে চাপানো যায়? এবার একই ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল হাই কোর্টে।
প্রসঙ্গত, গরুপাচার (Cattle smuggling) কাণ্ডের জট খুলতে সক্রিয়তা বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িত রাঘব বোয়ালদের জালে আনতে তৎপর ছিল তারা। দুই পাচারের অন্যতম মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্যের জের, কুয়েতের সুপার মার্কেটে বয়কট ভারতীয় পণ্য]
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে চক্রের মূল পাণ্ডা এনামুল হক, বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার, গুলাম মুস্তফা ও আনারুল শেখ-সহ সাতজনের নাম ছিল। বন্ধ খামে বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধায়ের এজলাসে অভিযোগপত্র পেশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তা গ্রহণ করেন বিচারক। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর আসানসোলের সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করে এনামুল। তারপর থেকেই সে জেল হেফাজতে ছিল। দু’বছর পর তার জামিনও মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট।