সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের নিরিখে বয়স বেড়েছে অনেকটাই। বর্তমানে বয়সের ভারে ন্যুব্জ সে। তাই দিন দিন কমছে কর্মক্ষমতা। বেলগাছিয়া ব্রিজের স্বাস্থ্যপরীক্ষায় এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা। তাই নিরাপত্তার খাতিরে তড়িঘড়ি ব্রিজের উপরের পিচের আস্তরণ সরিয়ে ফেলার বিজ্ঞপ্তি জারি করল পূর্তদপ্তর।
[আরও পড়ুন: পঞ্চমী-ষষ্ঠীতে রেকর্ড যাত্রী সংখ্যা রেলের, অনেকটাই পিছিয়ে অষ্টমী-নবমী]
বিপজ্জনক অবস্থার জেরে পুজোর আগে থেকেই টালা ব্রিজে বন্ধ ভারী যান চলাচল। বিকল্প পথে চলছে গাড়ি। পুজোর সময় ইঞ্জিনিয়াররা ব্রিজ পরিদর্শন করেন। মুম্বইয়ের ইঞ্জিনিয়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টালা ব্রিজের অবস্থা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই ব্রিজ সংস্কার করে আর কোনও লাভ নেই। পরিবর্তে নিরাপত্তার স্বার্থে তা ভেঙে ফেলাই ভাল। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠক হবে। সেখানেই টালা ব্রিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার ফলে টালা ব্রিজে সমস্ত রকমের যান চলাচল শুরু কবে হবে, সে বিষয়ে এখনও জারি চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা।
[আরও পড়ুন: উৎসব শেষ, ৪দিন পর বিজয়ার মিঠাই নিয়ে বাড়ি ফিরল বহুরূপী ‘ডাকাত’]
এদিকে, টালা ব্রিজে বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ গাড়ি যাচ্ছে বেলগাছিয়া সেতু দিয়ে। তার ফলে চাপ পড়ছে আরজি কর হাসপাতাল সংলগ্ন এই ব্রিজে। পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা ওই ব্রিজের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। ওই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বেলগাছিয়া ব্রিজের অবস্থাও অত্যন্ত সঙ্গীণ। যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড়সড় বিপদের আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আপাতত ওই ব্রিজের উপর ট্রামলাইনের জন্য ব্যবহৃত পিচের আস্তরণ তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পূর্তদপ্তর থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে রোবোটিক ভাইব্রেটর যন্ত্রের সাহায্যে পিচের আস্তরণ তোলা যাবে না। কারণ, ব্রিজের স্বাস্থ্যের নিরিখে ঝাঁকুনির ফলে বিপদ হতে পারে। তাই ব্রিজ যাতে না কাঁপে সেই পদ্ধতি পিচের আস্তরণ তুলে ফেলা হবে। এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে পূর্তদপ্তর।
The post কমছে বহন ক্ষমতা, বেলগাছিয়া ব্রিজের উপর থেকে পিচের আস্তরণ সরানোর সিদ্ধান্ত appeared first on Sangbad Pratidin.