কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: পিঠে, পাটিসাপটা তো খেয়েই থাকে বাঙালি। দুধ-ক্ষীর-ছানা-নারকেলের মিশেলে আর কুশলী হাতে পড়লে দেবভোগ্য এই ডেজার্টের জন্য বছরভর উত্তুরে হাওয়ার অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। এবং যা খবর পাওয়া যাচ্ছে আজকাল, তাতে দেখা যাচ্ছে বহু অবাঙালিও এর স্বাদে বেশ মজেছেন। পিঠেপুলির (Pitha) সাবেক স্বাদে যদি ফিউশনের রং লাগে, যদি চেনা পিঠেটা চকলেটের আস্তরণে মুড়ে আপনার প্লেটে হাজির হয়, শীতকালের পিঠেতে গ্রীষ্মের আম যদি এসে হঠাৎ তার স্বাদ বদলে দেওয়ার অনুঘটকের কাজ করে, কেমন দাঁড়াবে ব্যাপারটা?
এরকমই পরীক্ষামূলক কয়েকটি পিঠে চেখে দেখার সুযোগ তুলে দিয়েছে কলকাতার খাদ্যদুনিয়ার একটি নাম করা প্রতিষ্ঠান স্পাইসেস অ্যান্ড সসে’স। পয়লা জানুয়ারি শুক্রবার অর্থাৎ আজ বিকেল থেকে সাবেক পিঠেরপুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফিউশন পিঠে ও তার সম্ভার সাজিয়েছে নিউটাউনের (Newtown) রবীন্দ্রতীর্থে। শীতকালজুড়ে এই স্টল সাদর আমন্ত্রণ জানাবে আপামর নাগরিককে। যখন যেদিন মন চাইবে গিয়ে পৌঁছলেই হল।
[আরও পড়ুন: খাদ্যরসিকদের জন্য সুখবর! টিউবে বন্দি খাঁটি নলেন গুড় এবার মিলবে অনলাইনে]
‘পৌষ পার্বণের পালায়, পিঠেপুলির মেলায়, চলো চলো রবীন্দ্র তীর্থ’-এই ক্যাচ লাইনের পিঠে পার্বণ শুরু করেছে এই সংস্থা। তবে শুধু পিঠে দিয়ে পেট ভরানো নয়, মন ভরানোর উপাদানও এই উৎসবে মজুদ। পয়লা জানুয়ারিতে যেমন এই উৎসবে সংগীত পরিবেশন করলেন হৈমন্তী শুক্লা, শ্রাবণী সেন, সিধু, তেমনই রবীন্দ্রনাথ এবং আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসলেন নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশংকর হালদার, সাহিত্যিক সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমূখ। এদিন দেবাশিস সেন, হিডকোর চেয়ারম্যান এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। ছিলেন আরও বিশিষ্টরা। স্পাইসেস অ্যান্ড সসে’স-এর কর্ণধার ছন্দা চক্রবর্তী পরিকল্পনা করেছেন এরকম একটি অনুষ্ঠানের, যেখানে বাঙালি তার হারিয়ে যাওয়া কিছু স্বাদ, মুহূর্ত ফিরে পেতে চাইবেন।
রবীন্দ্রতীর্থের মেলায় আম দিয়ে বানানো ‘অমৃত পিঠে’ বা চকোলেট সহযোগে তৈরি পাটিসাপটা ‘পিঠে প্যাশন’ ছাড়াও সাবেক পিঠেপুলিও থাকবে। চেখে দেখতে পারেন ‘পিঠে মিঠে’, ‘পিঠে বাসনা’, ‘পিঠে নলিনী’, ‘রসেবসে পিঠে’ ইত্যাদি। মিষ্টি খেতে খেতে মুখ মেরে গেলে নোনতার দিকে নজর ঘোরানোর ব্যবস্থাও থাকছে।