সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় একটার পর একটা বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে বসেই এই গুলিবর্ষণের ছক কষা হয়েছিল। সেখানেই লরেন্স বিষ্ণোইর ভাই, অনমোল বিষ্ণোই রোহিত গোদরা নামের এক শুটারকে দায়িত্ব দেয়। এমনকী, বহু মাস আগে থেকে পুরোটা প্ল্যান করা ছিল। সূত্রের খবর, বহু আগে থেকেই মুম্বইয়ে ঘাঁটি গেড়েছিল আততীয়ারা। বহুদিন ধরেই সলমনের গ্যালাক্সির আশপাশে ঘুরেও তথ্য জোগার করেছে বলে খবর রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশের গাফিলতি রয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই সলমনের গ্যালাক্সির সামনে মুম্বই পুলিশের একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকে। মূলত, নিরাপত্তার কারণেই এই ভ্য়ানের ব্যবসা রয়েছে মুম্বই পুলিশের। তবে রবিবার সকাল থেকেই নাকি এই ভ্যানটিকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকী, সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে তা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুই বাইক আরোহি এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে। বুলেট গিয়ে লাগে সুপারস্টারের বাড়ির দেওয়ালে। গুলি চালিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশ। শোনা গিয়েছে, ভাইজানের বাড়ির সামনে নিরাপত্তার জন্য নাকি অন্তত ১০টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্তত চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। আর প্ল্যান করেই দুষ্কৃতীরা এসেছিল। তাদের মুখ পুরোপুরি ঢাকা ছিল।
[আরও পড়ুন: ‘কর্মফল! উপরওয়ালা আছে…’, সরবজিৎ খুনের মূল অভিযুক্ত খুন হওয়ায় খুশি রণদীপ হুডা]
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সলমন খানের বাবা তথা বলিউডের প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম খান বিশেষ মাথা ঘামাতে রাজি নন। ঘটনার পরই তিনি নাকি মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে পড়েছিলেন। নিজের এই রুটিনে কোনও পরিবর্তন আনতে নারাজ তিনি। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আবার সেলিম খান বলেন, “চিন্তার কোনও কারণ নেই। ওঁরা বোধহয় পাবলিসিটি চেয়েছিল। চিন্তার কোনও কারণ নেই।” তবে ভাইজানের ভক্তরা বেশ উদ্বিগ্ন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে নিজে সলমন খানকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। তাঁর নির্দেশেই সলমনের বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।