সুব্রত বিশ্বাস: আর মাত্র ক’দিনের অপেক্ষা। চোখের নিমেষেই হাওড়া থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে নিউ জলপাইগুড়ি। সৌজন্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বমানের ট্রেন ইতিমধ্যে ছ’টি রুটে চলছে। এরপর বছর শেষে এই রাজ্যে গতিমান ট্রেনের সূচনা। যার জন্য সাজোসাজো রবও শুরু হয়েছে পূর্ব রেলের নানা বিভাগে। ইতিমধ্যে হাওড়ার দশ চালক গাজিয়াবাদ গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ট্রেনটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাকট্রিতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন হাওড়ার ২৫ জন ট্রেন এক্সামিনার। সেমি হাই স্পিড জাতীয় এই ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা শেডও তৈরি করেছে পূর্ব রেল। হাওড়া ঝিল সাইডিংয়ে উন্নতমানের সম্পূর্ণ ঘেরাটোপের মধ্যে এই প্রথম ডিপো তৈরি করা হয়েছে ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। হাওড়ার ডিআরএম মনীশ জৈন বলেন, অন্য সব ট্রেন যে কারসেডে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তার কিছু অংশ শেড ঘেরা, কিছু অংশ খোলা আকাশের নিচে হয়। কিন্তু বন্দে ভারত রক্ষণাবেক্ষণের ডিপোটি পুরোপুরি শেডের মধ্যে। সব মরশুমে যাতে সমান ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। রক্ষণবেক্ষণের সুবিধায় তিনটি স্তরে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে ডিপোতে। ট্রেনের একেবারে নিচের অংশ, মাঝে কোচের যেখানে যাত্রী থাকে আর ছাদে এক সঙ্গে যাতে তিন জায়াগায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা যায় তাই এই ত্রিস্তরীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঝরনায় জল খেতে গিয়ে গলায় আটকাল জোঁক, ১৫ দিন পর অপারেশনে প্রাণ বাঁচল যুবকের]
সাধারণ ট্রেনগুলির কোচ ও ইঞ্জিন আলাদা। তাই আলাদা আলাদাভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় ওই ট্রেনগুলিকে। কিন্তু এই বন্দে ভারতে কোচের সঙ্গেই লোকোমোটিভ। একেবারে লোকাল ট্রেনের ধাঁচে। তাই লোকোমোটিভ ও কোচ এক সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এই যৌথ কাজের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা গ্যাং তৈরি করা হয়েছে হাওড়া ডিভিশনে। যাদের সম্প্রতি প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে চেন্নাইয়ের আইসিএফতে।