সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী উৎসবের মরশুম এবং শীতের সময়ে করোনা (Covid-19) সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার তিনি সূচনা করবেন ‘জন আন্দোলন’ কর্মসূচির। তার আগে একটি টুইটে সকলের কাছে একসঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘চলুন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করি একসঙ্গে। সবসময় মনে রাখতে হবে: মাস্ক পরুন, হাত পরিষ্কার রাখুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। একে অপরের থেকে দু’গজের দূরত্ব রেখে চলুন।’’
‘জন আন্দোলন’ কর্মসূচির লক্ষ্য হল, করোনা রুখতে সকলকে সতর্ক করা। বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, ‘‘যতদিন না করোনা ভ্যাকসিন আসছে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব ও হাত ধোয়াই হল নিরাপদে থাকার অস্ত্র।’’
বুধবার এক সরকারি বিবৃতিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে সকলকে জানানো হয়। এই কর্মসূচিতে নানা ভাষায় দেশজুড়ে করোনার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার বিষয়ে প্রচার চালানো হবে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলে এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করা হবে। এই কর্মসূচির অধীনে সংবাদমাধ্যম, ব্যানার ও পোস্টার— নানা ভাবে প্রচার চালানো হবে। পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কেও সকলকে জানানো হবে।
এদিন প্রতিটি রেল জোন, ডিভিশন, ওয়ার্কশপ, ট্রেনিং সেন্টার, ইঞ্জিন নির্মাণের কারখানা সহ রেলের প্রতি ক্ষেত্রে আধিকারিকরা শপথ নেন, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মানা ও বারবার হাত ধোওয়ার। বেলা সাড়ে এগারোটার সময়ে ভিডিও কনফারেন্স করে এই শপথের পাঠ দিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এরপর কর্তারা পাঠ দিলেন কর্মীদের। এভাবেই উপর থেকে নিচু তলা পর্যন্ত সকলকেই সতর্ক করা হল কোভিড সংক্রমণের ব্যাপারে।
[আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসার নেপথ্যে ‘কট্টর হিন্দু একতা’ নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ! দাবি পুলিশের]
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা তো বটেই, সেই সঙ্গে ক্রীড়াজগৎ, বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্তরাও অংশ নেবেন ‘জন আন্দোলন’ কর্মসূচির প্রচারে। রেলস্টেশন, বাজারের মতো বহু জনসমাগমের স্থানগুলিকে প্রচারের জন্য বেছে নেওয়া হবে। প্রচার হবে সারা দেশে। এদিকে দেশের দৈনিক সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, এই মুহূর্তে তার চেয়ে অনেকটাই বেশি হারে বাড়ছে সুস্থতা। যার ফলে ক্রমে কমছে সক্রিয় বা চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। সংখ্যাটা কমতে কমতে বৃহস্পতিবার ৯ লক্ষের কাছাকাছি চলে এসেছে। যা স্বস্তি দিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে।