সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: PM CARES তহবিল নিয়ে শুরু থেকেই বহু প্রশ্ন ছিল বিরোধীদের। এই তহবিলের জমা খরচের হিসেব বা অডিট নিয়েও বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সরকারকে বহুবিধ কটাক্ষেরও শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু এ সবকিছুর ঊর্ধ্বে জরুরি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে এই বিতর্কিত তহবিলই। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেন্দ্র যে ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার অর্থের জোগান দেওয়া হবে এই PM CARES তহবিল থেকেই। এর আগে এই তহবিলের টাকা ভেন্টিলেটর, মাস্ক, পিপিই কিনতে ব্যবহৃত হয়েছে। এবার ভ্যাকসিনের খরচেরও একটা বড় অংশ PM CARES থেকেই আসবে বলে ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি। যদিও সরকারিভাবে এ বিষয়ে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, দিন চারেক পর থেকেই দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ (Corona Vaccine) শুরু হয়ে যাবে। সেই মতো মঙ্গলবারই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ডের ডোজ। এদিকে সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছেন, সরকারের অনুরোধে প্রাথমিকভাবে অনেক কম দামেই কোভিশিল্ড (Covisheild) দেওয়া হবে। দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সেরাম ইনস্টিটিউট ২০০ টাকার কিছু বেশি দামে সরকারকে প্রথম দশ কোটি ভ্যাকসিন বেচবে। তারপর তা খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে ১ হাজার টাকা করে।
[আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশগুলিতে কবে কোভিড টিকা পাঠাবে ভারত? জানালেন বিদেশমন্ত্রী]
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, কেন্দ্র প্রথম তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনাযোদ্ধাকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে। সেক্ষেত্রে হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ভ্যাকসিন সরকারকে কিনতে হবে। যা আসতে পারে PM CARES থেকে। এর আগে এই তহবিল থেকে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল ভেন্টিলেটর কেনার জন্য, ভ্যাকসিন তৈরিতে সাহায্যের জন্য এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য।