সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের মন্ত্রী-নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী সিবিআই প্রধানের চেয়ারে কে বসবেন? তা ঠিক করতেই সোমবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। মোদি ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana) এবং লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ঋষিকুমার শুক্ল অবসর নেওয়ায় বর্তমানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিরেক্টর প্রবীণ সিনহা। তার জায়গায় আসবেন নয়া ডিরেক্টর। কানাঘুষো খবর, দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রাকেশ আস্থানা, ওয়াইসি মোদি-সহ বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসার।
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধে সাতটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি বসতে চলেছে। সেখানেই ঠিক হবে পরবর্তী সিবিআই প্রধান কে হবেন? সিবিআই ডিরেক্টর বাছাই কমিটিতে আলোচনার জন্য ইতিমধ্যে ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭-র ব্যাচের উপযুক্ত আইপিএস অফিসারদের তালিকা তৈরি করাও হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৯৮৪ ব্যাচের রাকেশ আস্থানা ও ওয়াইসি মোদি প্রবীণতম। এই দু’জনই আবার প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলেও মত রাজনৈতিক মহলের। গোধরা কাণ্ডে এই দুই অফিসারের কাঁধে ভর করেই মূলত ক্লিনচিট পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাই এবারও দু’জনের মধ্যে থেকেই একজনের উপরে ভরসা রাখতে পারেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: নারদ মামলায় নয়া মোড়, হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে CBI]
বর্তমানে গুজরাট ক্যাডারের আইপিএস আস্থানা বিএসএফ ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর শীর্ষপদে রয়েছেন। মোদি রয়েছেন এনআইএ-র ডিজি-র পদে। তবে এই দু’জন বাদে সিআইএসএফ প্রধান সুবোধ জয়সওয়াল, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি হীতেশ চন্দ্র অবস্থি, কেরল ক্যাডারের লোকনাথ বেহরা, গুজরাট এসিবি চিফ কেশব কুমার, আইটিবিপি-র ডিজি এসএস দেশওয়ালের নামও তালিকায় রয়েছে।
এর আগে আস্থানা সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর পদে ছিলেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে তৎকালীন ডিরেক্টর অলোক বর্মার দ্বন্দ্বে সিবিআইয়ের অন্দরে কার্যত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। বর্মা আস্থানার বিরুদ্ধে, আবার আস্থানা বর্মার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলা শুরু করেছিলেন। তার আগেও আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ছিল। সরকারি সূত্রের দাবি, সিবিআই ডিরেক্টর পদে আস্থানার রাস্তা পরিস্কার করতে দু’টি দুর্নীতির অভিযোগ থেকেই ইতিমধ্যে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গত বছরেই মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির ঘুষের মামলা থেকে আস্থানাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। গুজরাটে স্টার্লিং বায়োটেক সংস্থার থেকে আস্থানা প্রায় ৪ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি সেই অভিযোগ থেকেও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ঋষিকুমার শুক্লা ফেব্রুয়ারিতে ডিরেক্টর পদ থেকে অবসর নেওয়ার আগে সেই ফাইলে সই করে গিয়েছেন বলে খবর সিবিআই সূত্রে। এখন দেখার কার নামে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ে!