shono
Advertisement

‘সততা ও ন্যায় বিচারে’র প্রতীক CBI, কেন্দ্রীয় সংস্থার নিরপেক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা মোদির

মোদির এই প্রশংসাকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
Posted: 04:23 PM Apr 03, 2023Updated: 06:58 PM Apr 03, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআইয়ের হীরক জয়ন্তীর উদযাপনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সিবিআইকে ‘সত্যনিষ্ঠ ও ন্যায় বিচারের ব্র্যান্ড’ বলে আখ্যা দেন তিনি।

Advertisement

১৯৬৩ সালে তৈরি হয় সিবিআই। সোমবার তারই হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সেখানেই তিনি বলেন, আজও সঠিক বিচার পেতে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপরই ভরসা রাখে দেশের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতা ও প্রতিভার সঙ্গে নির্ভীক ও নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে চলেছে সিবিআই। মোদির দাবি, উন্নতশীল ভারত গড়ার ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের অবদানও অনস্বীকার্য। কারণ ভারতের মতো বড় দেশের জন্য সিবিআইয়ের মতো পেশাদার ও দক্ষ সংস্থা অতি প্রয়োজন। আর এই প্রত্যাশাই সিবিআইয়ের (CBI) দায়িত্ব অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়।

[আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, ‘জয়ী’ ব্যান্ডের সদস্যদের কাছে পাঠালেন একতারা-সহ ২ বাদ্যযন্ত্র]

মোদির কথায়, “প্রতিভার সবচেয়ে বড় শত্রু হল দুর্নীতি। এই জন্যই স্বজনপোষণ হয় ও পরিবারতন্ত্র ফুলে ফেঁপে ওঠে। কোনও দুর্নীতিগ্রস্থকে রেয়াত করা হবে না। দেশের নাগরিকরাও তেমনটাই চায়।” স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে তিনি সরাসরি ‘ভাই-ভাতিজাবাদ’ শব্দের উল্লেখ করেন। আর এতেই রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় রাহুল গান্ধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?

মোদি মনে করেন, দুর্নীতি রুখে দেওয়াই সিবিআইয়ের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। এরপরই মোদি যোগ করেন, বন্যপ্রাণী নিয়ে অপরাধ থেকে ব্যাংক জালিয়াতি, প্রতিটি বিষয়েই তদন্ত করে সিবিআই। নিরপেক্ষভাবে সবদিক খতিয়ে দেখে।

বর্তমানে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বারবার মোদি সরকারকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সেই আবহেই সিবিআইয়ের প্রশংসা করে তার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার প্রশংসা করলেন মোদি।

[আরও পড়ুন: শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে মেট্রোয় তরুণী, দেখে তাজ্জব যাত্রীরা! ভিডিও ভাইরাল]

মোদির এই প্রশংসাকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলে দেন, “প্রধানমন্ত্রীর কটা মুখ? কোন ভাষায় কথা বলছেন? ২০১৩ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সিবিআইকে বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সি হেনস্তা করছে। আর এখন বলছেন সত্যনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ! একটাই উদাহরণ দেব। এ রাজ্য়ের লোডশেডিং বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সিবিআই যদি নিরপেক্ষ হয়, তাহলে অবিলম্বে শুভেন্দুকে অ্য়ারেস্ট করুক।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement