সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার বাজপেয়ীর শততম জন্মদিন। এদিন থেকেই শুরু হল তাঁর শতবর্ষ উদযাপন। আর এদিনই তাঁকে নিয়ে অনলাইনে এক স্মৃতিকথা লিখলেন মোদি। দাবি করলেন, দেশ চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের রূপান্তরের স্থপতি বাজপেয়ীর প্রতি।
এদিন মোদিকে লিখতে দেখা গিয়েছে, 'আমাদের দেশ অটলজির প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। তিনি ছিলেন একবিংশ শতাব্দীর ভারতের রূপান্তরের স্থপতি। ১৯৯৮ সালে যখন তিনি শপথ নেন, দেশ এক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। ৯ বছরের মধ্যে আমরা ৪টি লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী হয়েছিলাম। দেশের মানুষ অধৈর্য হয়ে পড়ছিল এবং সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দিহানও হয়ে পড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে অটলজিই সক্ষম হয়েছিলেন স্থায়ী ও কার্যকরী প্রশাসন দিতে।' প্রযুক্তি, টেলিকম ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের কথাও স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও অর্থনীতি থেকে সমাজ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অটলবিহারী বাজপেয়ীর অবদানের কথাও লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখায় তিনি জানিয়েছেন, 'অটলজি ভারতীয় গণতন্ত্রকে বুঝতেন এবং সেটিকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি মানুষকে একত্রিত করে এনডিএকে উন্নতি, জাতীয় উন্নয়ন ও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার এক শক্তিতে পরিণত করেছিলেন।'
প্রসঙ্গত, এ দেশের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির আঙিনায় বাজপেয়ী ছিলেন ‘নরম মুখ’। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে ছিল নিবিড় যোগ। কিন্তু দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর প্রতি ছিল অপার শ্রদ্ধা। এক টালমাটাল সন্ধিক্ষণে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন— এক দিকে জোট রাজনীতির উত্থান, অন্য দিকে দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় বদল আনার প্রক্রিয়া। ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯-২০০৪ সাল এই তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ছিলেন বাজপেয়ী। অর্থাৎ ২২৬৮ দিন প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। দেশের ইতিহাসে সব থেকে বেশিদিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহরু। ১৬ বছর ২৮৬ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।