সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গিয়েছিলেন যোগ সম্মেলনে শামিল হতে। বুধবার লখনউ বিমানবন্দরের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ভাই প্রহ্লাদ মোদির অনুগামীদের ঢল দেখে হিমশিম খায় পুলিশ। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। সে সব দেখে বেজায় চটে যান প্রহ্লাদ মোদি। পরে চেয়ার নিয়ে বিমানবন্দরের গেটের সামনেই ধরনায় বসেন তিনি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে জলখাবার দিলেও তা তিনি মুখে তোলেননি। প্রহ্লাদ জানান, অনুগামীরা জেলে। তিনি বাইরে ঘুরছেন, এটা ভাল দেখায় না।
[আরও পড়ুন: অর্ণবের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা মুম্বই পুলিশকর্তার, টিআরপি বিতর্কের মধ্যেই বাড়ল অস্বস্তি]
সমর্থকদের গ্রেপ্তারিতে প্রহ্লাদ মোদি বলেন, “আমার প্রয়াগ্রাহ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুগামীরা জেলে আর আমি বাইরে ঘুরব, এটা ভাল দেখায় না। আমাকে জল ও খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখান থেকে আমি নড়ব না।” তিনি আরও জানান, পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে। তবে সেরকম কোনও লিখিত নির্দেশের কপি প্রশাসন না পুলিশ দেখায়নি। তাঁর অভিযোগ, হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে বদনাম করার চেষ্টা করছে পুলিশ, আর না হয় তাদের কাছে কোনও নির্দেশই আসেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, লখনউ বিমানবন্দরে হাই সিকিউরিটি এলাকায় ঢুকে পড়া ও ১৪৪ ধরা ভঙ্গ করার অভিযোগে প্রহ্লাদ মোদির সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দেড় ঘণ্টা বাদে ধরনা পরিত্যাহার করেন তিনি। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বুধবর বিকেল ৪টা নাগাদ ইন্ডিগো বিমানে চেপে লখনউ আসেন প্রধানমন্ত্রীর ভাই। এই ঘটনায় রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধিতার ফলেই এই পদক্ষেপ। না হলে, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাইকে আটকাতো না পুলিশ।
উল্লেখ্য, বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘জেল ভরো’ আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই প্রহ্লাদ মোদি। সেবার রেশন ডিলার সংগঠনের হয়ে কেন্দ্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের নীতির জন্যই দেশে গণবণ্টন ব্যবস্থা উঠে যেতে বসেছে। খাদ্যের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত৷ কিন্তু কেন্দ্রের নীতির জন্যই দেশের একটি বড় অংশের মানুষ এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সালে চণ্ডীগড় ও পুদুচেরিতে রেশন ব্যবস্থা উঠে গিয়েছে। ওই দুই রাজ্যে কোনও গণবণ্টন ব্যবস্থা নেই। আরও বেশকিছু রাজ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থা উঠে যেতে বসেছে৷