সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ রবিবার সকালে করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবও। দেশে অক্সিজেন (Oxygen), ওষুধের চাহিদা এবং জোগান নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। দেশের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক জন চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে শনিবার। তার মধ্যে দিল্লিতে বত্রা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে দিল্লির এক বেসকারি হাসপাতালে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে এক চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশ কার্যত বিপর্যস্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাসপাতালের বেড এমনকী অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে। শুধু তাই নয় ভারত বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বেশি টিকা উৎপাদন করে। কিন্তু সেখানে ভারতেই টিকার জন্য লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে, তাও টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল অর্থাৎ ১৮ থেকে ৪৪ বছরের সবার জন্য দেশে টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যগুলির হাতে পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় তা শুরুই করা যায়নি। বেশির ভাগ রাজ্যই আগে জানিয়ে দিয়েছিল, যাদের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োজন তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে এই বিষয়গুলিও উঠে এসেছে।
[আরও পড়ুন: মহামারী মোকাবিলায় ভারতের পাশে বিশ্ব, এবার বেলজিয়াম থেকে এল রেমডেসিভির]
এদিকে ৪ রাজ্য এবং পুদুচেরিতে ভোটের প্রচারে একের পর এক মিছিল মিটিংয়ের ফলে আরও বেশি করে করোনা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একের পর এক ছোট বড় সভা করেন। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁর এই ভূমিকার সমালোচনা হয়। শুধু তাই নয় তিনি দেশের করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার থেকে ভোট প্রচারে বেশি ব্যস্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগের দাবিও উঠতে শুরু করে।